ফের কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরাল তৃণমূল, অধীরের ‘ঘর’-এ ঢুকে প্রত্যাঘাত শুভেন্দুর
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফোঁস করতেই সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে দলে টেনে অধীর চৌধুরীকে জবাব দিলেন পরিবহণমন্ত্রী।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফোঁস করতেই প্রত্যাঘাত করলেন মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে দলে টেনে অধীর চৌধুরীকে জবাব দিলেন পরিবহণমন্ত্রী। সেইসঙ্গে বললেন, অধীর চৌধুরীকে বহরমপুর থেকে না হারানো পর্যন্ত আমার নিস্তার নেই। আপনারা অধীরবাবুকে জেলা ছাড়া করছেন, এবার ওনাকে বহরমপুর থেকে হারিয়ে মোক্ষম জবাবটা দেওয়ার পালা।
[আরও পড়ুন:ফের কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরাল তৃণমূল, অধীরের 'ঘর'-এ ঢুকে প্রত্যাঘাত শুভেন্দুর]
দু-সপ্তাহ আগে তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা সামসুল হুদাকে কংগ্রেসে যোগদান করিয়ে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেদিন কংগ্রেস প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ও নির্দল প্রার্থী সামসুল হুদার প্রাপ্ত ভোটের পরিসংখ্যান দিয়ে মুর্শিদাবাদের মাটিতে ফের কংগ্রেসের ফিরে আসার বার্তা দিয়েছিলেন।
সামসুল হুদার কংগ্রেসে যোগদানের পর থেকেই শুভেন্দু সুযোগ খুঁজছিলেন। আর মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই অধীরকে মোক্ষম আঘাতটা ফিরিয়ে দিয়ে তিনি তৃপ্ত। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের মঞ্চে এসে যোগদান করেন সাগরদিঘির কংগ্রেস প্রার্থী আমিনুল ইসলাম। আর সেইসঙ্গে শুভেন্দুর গর্জন, 'অধীরবাবু এবার ভোট অঙ্কটা হিসেব করুন। বিধায়ক সুব্রত সাহা ও সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া আমিনুলের ভোট পরিসংখ্যানটা দেখেছেন তো!'
শুভেন্দু এদিন আরও বলেন, 'মু্র্শিদাবাদে যেখানে যেখানে সভা করবেন অধীর চৌধুরী, আমিও সেখানে সেখানে সভা করব। তছনছ করে দেব কংগ্রেসকে।' তিনি বলেন, 'অধীরবাবুকে চ্যালেঞ্জ দিলাম, আপনি চাটাই পাতার লোক পাবেন না মুর্শিদাবাদে।' এদিন অধীরবাবুকে বিজেপির পরম আত্মীয় আর সিপিএমের অভিভাবক বলেও আক্রমণ করেন শুভেন্দু।
২০১৬ সালের নির্বাচনে তৃণমূল নেতা সামসুল হুদা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন। তারই জেরে নির্বাচনী জনসভা থেকে সামসুল হুদাকে সাসপেন্ড করেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ভোটের ফলাফলে অবশ্য তৃণমূলেরই জয় হয়েছিল। কংগ্রেস প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে হারিয়ে সুব্রত সাহা বিধায়ক হয়েছিলেন।
সুব্রত সাহা পেয়েছিলেন ৪৪ হাজার ৮১৭ ভোট, আমিনুলের ঝুলিতে গিয়েছিল ৩৯ হাজার ৬১৩ ভোট। আর পিছিয়ে ছিলেন না সামসুল হুদাও। তিনি পেয়েছিলেন ৩১ হাজার ৯২০ ভোট। সেদিন সামসুলকে কংগ্রেসে যোগদান করিয়ে আমিনুল ও সমাসুলের ভোট মিলিয়ে দেখার বার্তা দিয়েছিলেন অধীর। আর এদিন সুব্রত সাহা ও আমিনুলের ভোট মিলিয়ে দেখার পাল্টা বার্তা দিলেন শুভেন্দু। সেইসঙ্গে শুভেন্দু বললেন, যতদিন না অধীর চৌধুরীকে হারাতে পারছি, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তাড়া করে বেড়াব তাঁকে।
[আরও পড়ুন:তৃণমূলে ফিরছেন দলত্যাগীরা! পঞ্চায়েতের আগে জোর ধাক্কা বিজেপি-সিপিএম শিবিরে ]