লকডাউনের সুযোগে লক্ষাধিক টাকা লুঠ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এজেন্ট দম্পতি পলাতক
বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার ঘোষপুর এলাকার ঘটনা। প্রায় শতাধিক গ্রাহকের জমানো অর্থ ব্যাংকের মূল শাখায় জমা না দিয়ে এজেন্ট দম্পতি মনোয়ারা বিবি ও তার স্বামী আব্দুল্লাহ্ শেখ গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে।
বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার ঘোষপুর এলাকার ঘটনা। প্রায় শতাধিক গ্রাহকের জমানো অর্থ ব্যাংকের মূল শাখায় জমা না দিয়ে এজেন্ট দম্পতি মনোয়ারা বিবি ও তার স্বামী আব্দুল্লাহ্ শেখ গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা লুঠ হয়েছে বলে অভিযোগ। বিগত ১৩ থেকে ১৪ বছর ধরে শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে ১০০, ২০০, ৫০০ আবার কখনো ১০০০ টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার নাম করে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা তুলে নেয়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের রশিদ মূল শাখায় জমা দেয়নি অভিযোগ গ্রাহকদের।
এমনটাই তারা জানতে পারলেন ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়ে। দেশজুড়ে লকডাউন চলছে, তারই মধ্যে এদিন ঘোষপুরের ঐ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তাদের জমানো অর্থ গ্রাহকরা তুলতে গেলে দেখা যায় তাদের কোন টাকা ব্যাঙ্কের মূল শাখায় জমা পড়েনি। পুরোটাই লুঠ হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার রাতেই এজেন্ট দম্পতি আব্দুল্লাহ্ শেখ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। আজ শনিবার সকালে থেকে তাদের জমানো টাকা ফেরতের দাবিতে শতাধিক মহিলা, পুরুষ ও যুবক ব্যাংকের সামনে তাদের রশিদ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। যেভাবে লকডাউন চলছে তার জেরে দেশে ও রাজ্যের বহু শ্রমিক দৈনন্দিন জীবনে রুজি-রোজগার হারিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই কলকাতার চর্ম নগরীতে কাজ করে। আবার কেউ রাজমিস্ত্রির লেবার কাজ করে। তারাই এই অর্থ তিল তিল করে জমিয়েছিল।
এজেন্ট তাদের পুরো অর্থটাই গায়েব করে দিয়ে পালিয়েছে। শ্রমিকরা অর্থসংকটে পড়েছে, টান পড়েছে ভাঁড়ারে। ঠিক মতো দুবেলা খেতেও পারছে না। তার ওপরে কাজ হারিয়েছে। সবমিলিয়ে সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শ্রমিক থেকে শ্রমিক পরিবারের। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও সমাজসেবী ইব্রাহিম গাজী প্রতারিত শ্রমিকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আগামী দিনে তাদেরকে যেমন দুবেলা খাওয়ানোর জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আর যাতে তারা টাকা ফেরত পান তার সবরকম ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন।
গ্রাহকরা দাবি করেছেন ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে এজেন্ট দম্পতি যে টাকা গায়েব করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করার কথা বলেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে। পাশাপাশি তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার দাবি জানিয়েছে। লুঠ হওয়া টাকা শ্রমিকরা যাতে ফিরে পায় তার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন শতাধিক গ্রাহক।