করোনা ভয় কাটিয়ে অবশেষে স্যানিটাইজড দুর্গা কুমোরটুলি থেকে পাড়ি দিল অস্ট্রেলিয়ায়
করোনা ভয় কাটিয়ে অবশেষে স্যানিটাইজড দুর্গা কুমোরটুলি থেকে পাড়ি দিল অস্ট্রেলিয়ায়
দুর্গাপুজো ২০২০। হবে তো? আসঙ্কায় আপামর বাঙালি। করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে থাবা বসিয়েছে। এদিকে রথ এলো বলে। বিদেশে দুর্গার পাড়ি দেওয়ার সময়ও এসে িগয়েছে। তার মধ্যে আম্ফানের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত কুমোটুলি। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না প্রতিমা শিল্পীরা। অবশেেষ সব উদ্বেগ কাটিয়ে মা দুগ্গা পাড়ি দিলেন বিদেশে। আর এর সঙ্গে পুজোর মরা গাঙে যেন বান এলো।
বিদেশে পাড়ি দিল দুর্গা
পুজো এবার হবে কিনা এই নিয়ে প্রবল সংশয় তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ বড় পুজো গুলিই স্পনসরের অভাবে ভুগছে। এই প্রবল বিপন্ন রাজ্যে অবশেষে পুজোর গন্ধ এসে গেল। সব বাধা কাটিয়ে কুমোরটুটি থেকে দুর্গা সপরিবারে পাড়ি দিলেন বিদেশে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে পাড়ি দিল আট ফুটের ফাইবারের দুর্গা। সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী এবং তাদের বাহনরা। জাহাজে চাপার আগে স্যানিটাইজ করা হয়েছে দুর্গার মূর্তি। তারপরেই মেলবোর্নের পথে পাড়ি দিয়েছে তারা।
বিদেশের অর্ডার কমেছে
বাধা বিপদ কাটিয়ে কুমোরটুলির মরা গাঙে শরতের ছোঁয়া লেগেছে বটে। এবার তাও বিদেশের বরাত নেই বললেই চলে। নভেম্বর মাস থেকেই বিেদশের ঠাকুরের বরাত আসতে শুরু করে। ৩০ থেকে ৩২টি প্রতিমা প্রতিবছরই কুমোরটুলি থেকে বিদেশে যায়। এবার সেটা কমে হয়েছে ৮ থেকে ১০। অর্ধেকেরও কম। একে একে একে সেই প্রতিমা তৈরি শেষ করে প্যাকেজিং করা হচ্ছে। করোনা মহামারীর মধ্যে কুমোরটুলির সাময়িক ব্যস্ততা একটু হলেও বাঙালির মন ভাল করে দিয়েেছ।
পুজোয় অনিশ্চয়তা
এবারে শহরের দুর্গাপুজো যে আগের মতো আর হবে না সেটা বলাই বাহুল্য। কাশীবোস লেন, নলীন সরকার স্ট্রিট, নাকতলা উদয়ন, আহেরিটোলা, যোধপুর পার্ক সহ একাধিক বড় পুজোয় এবার স্পনসরের কোপ পড়েছে। লকডাউনের কারণে রাজ্যে ব্যবসা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে। যা সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন বড় ব্যবয়ায়ীরাও তাই এবারে পুজোট স্পনসরশিপ কতটা জুটবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
শহরের অর্ডারে ঘাটতি
কুমোরটুলি থেকে বিদেশে দুর্গা পাড়ি দিলেও দেশিয় বাজার একেবারে ফাঁকা। এখনও পর্যন্ত শহর কলকাতা বা শহরতলীর পুজোর তেমন অর্ডার আসেনি কুমোরটুলিতে। তাই এবারের পুজো নিয়ে অন্ধকারে প্রতিমা শিল্পীরা। শুধু তারা নন এই প্রতিমা তৈরির আনুসঙ্গিক কাজে অনেকেই জড়িত রয়েছে তাঁদেরও রোজগারে কোপ পড়েছে।
দেশে ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণ, আগামী এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াতে পারে ৩ লক্ষের গণ্ডি