করোনা আবহে ১২০ বছরের বৃদ্ধার মৃত্যুতে অভিনব শেষকৃত্য
করোনা আবহে ১২০ বছরের বৃদ্ধার মৃত্যুতে অভিনব শেষকৃত্য
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ১২০ বছরের বৃদ্ধার মৃত্যুতে অভিনব আয়োজনে শেষকৃত্য পালন করলেন বৃদ্ধার নাতি নাতনী ও তাঁদের ছেলে মেয়ের, ছেলে মেয়েরা। আর পাঁচজন শ্মশানযাত্রীর মতো শুধু খই ছড়ানো হল না। সঙ্গে রাস্তায় ছড়ানো হল ফুল। ওড়ানো হল আবির।
ফাটল আতস বাজি। শুধু তাই নয়, শবযাত্রীরা ব্যান্ড বাজিয়ে উদ্দাম নাচানাচি করে। এভাবেই এগোতে থাকে বৃদ্ধার শববাহী মিছিল। শ্মশানের সামনে গিয়ে শেষ হয় নাচানাচি। এমন অভিনব শবযাত্রা অবাক করে দিয়েছে গোটা দিঘাকে। জানা গিয়েছে, দিঘার দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মহেশ্বরী চন্দ। বার্ধক্য জনিত কারণে মৃত্যু হয় বছর ১২০ র মহেশ্বরী দেবীর। স্বাভাবিভাবেই দীর্ঘ এত বছরের জীবনে তাঁর পরিবারের সংখ্যাও বেড়েছে। ছেলে, মেয়ে নাতি-পুতি মিলিয়ে ভরা সংসার।
তাই ১২০ বছর বয়সে নাতি নাতনী ও তাদের ছেলে মেয়ের ছেলে মেয়েকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে মহেশ্বরী চন্দের। শনিবার হঠাৎই বার্ধক্য জনিত কারণে মারা যান তিনি। এর পর তার মৃত্যুতে বিরাট আড়ম্বরের সঙ্গে শেষ কৃত্যের শোভা যাত্রা বের হয় বৃদ্ধার পরিবারের তরফে।মহেশ্বরী চন্দের সত্তরোর্ধ্ব নাতি সুনীল চন্দ জানালেন, 'মৃত্যু দুঃখের হলেও, এই মৃত্যু আনন্দের।
কারণ দিঘার বুকে এত বেশি বয়স পর্যন্ত আজ অবধি কেউ বাঁচেনি। আর এত বড় পরিবারও এই প্রথম! তাই আমরা সবাই মিলে দিদার মৃত্যুতে শোভাযাত্রার আয়োজন করেছি।'
তিনি আরও জানান, সবমিলিয়ে পরিবারের সদস্যসংখ্যাও ১০০-র উপরে। দীর্ঘ এক শতক জীবনে সবাইকে আগলে রেখেছিলেন মহেশ্বরী। নিজের জীবনে সাক্ষী থেকে বহু অভিজ্ঞতারও। সময়ের হিসেব বলছে, স্বাধীনতার বহু আগেই তাঁর জন্ম। দেখেছেন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম। দেখেছেন দেশ স্বাধীন হতে। দেখেছেন সময়ের বিবর্তন। দেখেছেন, তাঁর ছোটদের নিজের চোখের সামনে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠতে।
শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠদের দলে নিতে আপত্তি বিজেপির! বিশৃঙ্খলার নেপথ্যে কারণ নিয়ে চর্চা