বুধবারের পর বৃহস্পতিবারেও হামলা 'আক্রান্ত আমরা'-র ওপর, অভিযুক্ত তৃণমূল যুব কংগ্রেস
ক্যানিং-এ ফের আক্রান্ত 'আক্রান্ত আমরা'র সদস্যরা। অম্বিকেশ মহাপাত্র-সহ অন্যদের কাছে থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে শাসকদলের হয়ে কাজ করারও অভিযোগ উঠেছে।
ক্যানিং-এ ফের আক্রান্ত 'আক্রান্ত আমরা'র সদস্যরা। অম্বিকেশ মহাপাত্র-সহ অন্যদের কাছে থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে শাসকদলের হয়ে কাজ করারও অভিযোগ উঠেছে।
বুধবারের পর বৃহস্পতিবারেও উত্তপ্ত ক্যানিং। আক্রান্ত আমরার কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা। ক্যানিং-এ আক্রান্ত আমরা এবং তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সদস্যদের মধ্যে হাতহাতিও হয়।
ক্যানিং-এ গুলিচালনার ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে, বৃহস্পতিবার আক্রান্ত আমরার অবস্থান ছিল ক্যানিং এসডিও দফতরের সামনে। এই কর্মসূচি নিয়ে বুধবার থেকেই উত্তপ্ত ছিল ক্যানিং। বুধবার আক্রান্ত আমরার দুই সদস্য মইদুল ইসলাম এবং অলোক প্রামাণিক প্রচারের সময় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কাছ থেকে বাধা পান বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার
নির্দিষ্ট
কর্মসূচি
পালনের
জন্য
সকাল
থেকেই
ক্যানিং
যান
আক্রান্ত
আমরার
সদস্যরা।
দলে
ছিলেন
অম্বিকেশ
মহামাত্র
ও
মইদুল
ইসলামরা।
কর্মসূচির
জন্য
এদিনও
তাঁরা
মাইকিং
করছিলেন।
অভিযোগ
সেই
সময়
তৃণমূল
যুব
কংগ্রেসের
লোকজন
তাঁদের
মারধর
করে।
প্রথমে
বচসা,
তারপর
হাতাহাতি
হয়
বলে
অভিযোগ।
পরে
অম্বিকেশ
মহাপাত্রদের
বেধড়ক
মারধর
করা
হয়।
বেশ
কেয়কজন
গুরুতর
আহত
হন।
খবর
পেয়ে
ঘটনাস্থলে
যায়
পুলিশ।
বুধবার
গণ্ডগোলের
পর
পুলিশ
জানিয়েছিল,
বৃহস্পতিবারের
কর্মসূচির
জন্য
কোনও
অনুমতি
নেই
অম্বিকেশ
মহাপাত্রদের।
যদিও
'আক্রাম্ত
আমরা'র
পক্ষে
অম্বিকেশ
মহাপাত্র
ওয়ানইন্ডিয়া
বাংলাকে
জানিয়েছিলেন,
৯
জানুয়ারি
ইমেল
মারফত
বারুইপুরের
পুলিশ
সুপারকে
জানানো
হয়েছিল
কর্মসূচি
সম্পর্কে।
যদিও
পুলিশের
দাবি,
কোনও
কর্মসূচির
অনুমতি
পাওয়ার
জন্য
ইমেল
কোনও
পদ্ধতি
নয়।
'আক্রান্ত
আমরা'কে
পদ্ধতি
মেনে
অনুমতি
নিতে
বলা
হয়।
এরপরেই
'আক্রান্ত
আমরা'
ক্যানিং
থানায়
লিখিত
কর্মসূচির
জন্য
আবেদন
করে।
কিন্তু
এই
আবেদন
পাওয়ার
পর
পুলিশ
জানায়,
কর্মসূচির
অন্তত
৪৮
ঘণ্টা
আগে
এই
আবেদন
করতে
হবে।
কর্মসূচি
পিছনোর
জন্যও
বলে
পুলিশ।
যদিও
'আক্রান্ত
আমরা'
জানায়,
তারা
তাদের
কর্মসূচি
পালন
করবে।
'আক্রান্ত
আমরা'র
অভিযোগ,
তাদের
ওপর
হামলাকারীদেরই
যখন
পুলিশ
ধরল
না,
তাহলে
সামান্য
একটা
কর্মসূচির
জন্য
কেন
নিয়মের
কথা
বলছে
প্রশাসন।
অম্বিকেশ মহাপাত্র জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার কর্মসূচি পালনি করতে না দিলে, রাস্তার ওপরেই বুকের ওপর ছবি ঝুলিয়ে ক্যানিং-এর গুলি চালনার ঘটনা এবং অভিযুক্ত তপু মাহাত-সহ বাকিদের গ্রেফতারের দাবি জানাবে। বৃহস্পতিবারের কর্মসূচিতে ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনের নিহতদের পরিবারগুলিরও যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও যোগ দেওয়ার কথা ছিল ক্যানিং-এর হিংসায় প্রাণ হারানো রিজাউল মোল্লা ও হাসান লস্করের পরিবারেরও। একইসঙ্গে তাদের গ্রামের লোকেদেরও যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে হামলার ঘটনার পরেই অম্বিকেশ মহাপাত্রদের নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং থানায়।