চাকরি দেওয়ার নামে তরুণীকে দিয়ে পরিচারিকার কাজ করানোর অভিযোগ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে
রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ! চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ। এমনকি জাত তুলেও অপমানের অভিযোগ। আর এই অভিযোগে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ এক তরুনীর। ডেবরার এক আদিবাসী তরুণী এ
রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ! চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ। এমনকি জাত তুলেও অপমানের অভিযোগ। আর এই অভিযোগে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ এক তরুনীর। ডেবরার এক আদিবাসী তরুণী এই অভিযোগ করেছেন। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।
যদিও এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী এক সংবাদমাধ্যমকে ওই মহিলাকে বাড়িতে কাজে রাখার কথা জানিয়েছেন। তবে পিএ হিসাবে ওই মহিলা কাজ করতেন বলে দাবি তাঁর। এমনকি ওই মহিলাকে দিয়ে বাড়ির কোনও কাজ করানো হত না বলেও জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রীর। তবে এহেন অভিযোগের পিছনে তাঁর শত্রুদের ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন হুয়ায়ুন সাহেব।
স্নাতক পাশ ওই মহিলার দাবি, হুমায়ুন কবির তাঁকে অস্থায়ী চাকরি দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। আর তা জানিয়ে জোর করে দিনের পর দিন পরিচারিকার কাজ করানো হয়েছে বলে মারাত্মক অভিযোগ। মন্ত্রীর কসবার রাজডাঙার বাড়িতেই ছিলেন। আর সেখানে থেকেই ঘর ঝাঁট-মোছা, কাপড় কাচা, বাসন মাজার মতো কাজ কাজ করানো হয়েছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন আদিবাসী ওই মহিলা।
এমনকি একাধিক কুকুরের মল পরিস্কারের মতো কাজও তাঁকে দিয়ে করানোর অভিযোগ। এরপরেও মন্ত্রী তাঁর জাত তুলে অপমান করতেন বলে দাবি তরুণীর।
শুধু তাই নয়, দিনের পর দিন কাজ করার পরেও দফতরের নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তরুণীর। তবে দফতর থেকে প্রতি মাসে বেতন তাঁর অ্যাকাউন্টে আসত বলে জানিয়েছেন আদিবাসী ওই তরুণী। তবে একদিন তাঁকে কাজ থেকে বার করে দেওয়া হয় বলে দাবি ওই তরুণীর। অভিযোগ, মন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রীয়ের কাজ পছন্দ না হওয়ার কারণেই তাঁকে বার করে দেওয়া হয়।
এরপর দীর্ঘদিন বাড়িতেই বসেছিলেন তিনি। তবে তরুণীর দাবি, গত বছর অগস্ট মাসে তাঁকে কারিগরি দফতর থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। আর সেখানে বলা হয় স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে আসার কথা।
এরপর দিনে পর দিন বসে থাকার পরেও কোনও ডাক আসেনি। আর এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, রাজ্যপাল ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে বিস্তারিত জানিয়ে ওই তরুণী চিঠি লেখেন। একই সঙ্গে অভিযোগও জানান। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে।
তবে সর্বভারতীয় বাংলা সংবাদমাধ্যমকে রাজ্যের মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, '''আইন মেনেই মেয়েটিকে আনা হয়েছিল''। 'নন টেকনিক্যাল কনট্র্যাকচুয়াল ওয়ার্কার' হিসাবে বাড়িতে কাজ করলেও কখনও পরিচারিকার কাজ সে করত না বলেও দাবি হুমায়ুন সাহেবের। এমনকি পিএ হিসাবেই ওই মহিলা কাজ করত। নিয়োগ-পত্রও খুব শিঘ্রই ওই মহিলাকে দেওয়া হত বলে দাবি মন্ত্রীর।