বিদেশ থেকে সরাসরি করোনার টিকা আমদানি করতে পারবে রাজ্য! ভ্যাকসিন সঙ্কট মেটাতে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
বাংলাতে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার সংক্রমণ। বাড়ছে আতঙ্ক। ভোররাত থেকে ভ্যাকসিনের নেওয়ার লাইন। রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বেসরকারি হাসপাতালে কার্যত একই ছবি। কোথায় ভ্যাকসিন? উত্তর নেই কারোর কাছে। ইতিমধ্যে বিনামূল্
বাংলাতে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার সংক্রমণ। বাড়ছে আতঙ্ক। ভোররাত থেকে ভ্যাকসিনের নেওয়ার লাইন। রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বেসরকারি হাসপাতালে কার্যত একই ছবি। কোথায় ভ্যাকসিন? উত্তর নেই কারোর কাছে। ইতিমধ্যে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে বলে কথা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই মতো কেন্দ্রের কাছে তিন কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছুই জানানো হয়নি। আর এরই মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের।
টিকা আমদানি করতে পারবে রাজ্যগুলি
শুধু দেশেই নয়, একাধিক করোনার ভ্যাকসিন রয়েছে বিদেশে। এই অবস্থায় বিদেশ থেকে সরাসরি করোনার টিকা আমদানি করতে পারবে রাজ্যগুলি। ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে এমনটাই অনুমতি দিল কেন্দ্র। টিকা আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও। তবে ভ্যাকসিন আমদানির ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছ শর্ত। যে ভ্যাকসিন এখনও দেশে ছাড়পত্র পায়নি সেগুলি আমদানির জন্য কেন্দ্রের অনুমতি লাগবে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।
বিদেশ থেকে কোভিডের টিকা কেনা যাবে
যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে কীভাবে ভ্যাকসিন কেনা যাবে। বলা হয়েছে যে কোনও বেসরকারি সংস্থা, কোনও ব্যক্তি নির্দিষ্ট শর্ত মেনে বিদেশ থেকে কোভিডের টিকা কিনতে পারবে। এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের টিকাকরণ কর্মসূচির সম্পর্ক থাকা বাধ্য়তামূলক নয়। অর্থাৎ রাজ্যগুলি এবার সরাসরি ভিনদেশ থেকে আমদানি করতে পারবে টিকা। তবে সেক্ষত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তার মধ্যে প্রধান হল, যে টিকা আমদানি করা হচ্ছে, সেটি ভারতের অনুমোদিত অথবা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হতে হবে। নাহলে সেক্ষত্রে প্রস্তুতকারী সংস্থা অথবা আমদানিকারিকে কেন্দ্রের থেকে অনুমতি নিতে হবে। যদিও আমদানি করা টিকা ইতিমধ্যেই দেশে ছাড়পত্র পেয়ে থাকে তবে জাতীয় নির্দেশিকা মেনে কেনা যাবে ভ্যাকসিন।
মোদীকে চিঠি মমতার
ভ্যাকসিন আর অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন মমতা। প্রথম দিনে দায়িত্ব নিয়েই মোদীকে চিঠি লিখে ছিলেন মমতা। তাতে মূলত ভ্যাকসিন নীতিতে স্বচ্ছতা আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি। মমতা চিঠিতে লিখেছেন সবরাজ্যেকে েযন সমান ভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়।এবং অক্সিজেন অন্যান্য রাজ্যে পাঠানোর ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। রাজ্যের ভ্যাকসিন সংকটের মধ্যেও অন্য রাজ্যকে ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা।
সেকেন্ড ডোজে অগ্রাধিকার
করোনা পরিস্থিতিতে প্রবল ভ্যাকসিন সংকট তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে সেকেন্ড ডোজ যাঁদের বাকি রয়েছে তাঁদের অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছেন তিনি।তারপরে কাদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তার সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করে টিকা কর্মসূচি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একের পর এক পদক্ষেপ করেছেম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভ্যাকসিন সংকট দূর করতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন তিনি। সব রাজ্যের কাছে যেন সমান ভ্যাকসিন থাকে তার জন্য ভ্যাকসিন নীতিতে স্বচ্ছতা দাবি করেছেন মমতা। আগেই তিনি অভিযোগ করেছিলেন অবিজেপি রাজ্য গুলিতে ভ্যাকসিন ঠিক মতো পাঠানো হচ্ছে না।