বিজেপির আঁচে কাছাকাছি বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল! রাজ্য বিধানসভায় আনা হতে পারে 'সর্বদল' প্রস্তাব
সাম্প্রদায়িত সম্প্রীতি নিয়ে বিধানসভায় সর্বদলীয় প্রস্তাবের উদ্যোগ সামনে এল। তার জন্য সরকার ও বিরোধী বাম-কংগ্রেসের মধ্যে কথা শুরু হয়েছে। বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইঙ্গিত বাম ও কংগ্রেসের সর্বদল বৈঠকের প্রস্তাব মেনে নিতে পারে সরকার। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বৈঠক কবে হবে, কিংবা আদৌ হবে কিনা তা ঠিক করবেন অধ্যক্ষ।

কাছাকাছি বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল!
রাজ্যে বিজেপির আগ্রাসী রাজনীতিতে কার্যত ভীত তৃণমূল কংগ্রেস। আর বিগত ৩৪ বছর কিংবা তার আগে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস ও বামেরা তো রাজ্যে ক্ষয়িষ্ণু শক্তি। বর্তমানে বিজেপি তৃণমূলের বড় শত্রু হলেও, ২০১১-তে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাম ও কংগ্রেস ভাঙিয়েছে তৃণমূল। এবার সেই ঝাপটাই লাগছে তাদের। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
নিয়ে বিধানসভায় সর্বদলীয় প্রস্তাব নিয়ে নিন্দুকদের কটাক্ষ, তাহলে কি কাছাকাছি আসছে বাম-কংগ্রে-তৃণমূল। যদিও তা বলার মতো সময় এখনও আসেনি। বলছেন রাজনৈতিক
বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

লিখিত প্রস্তাব নিয়ে সুজন-মান্নানের কাছে তাপস
এদিন সরকার তথা তৃণমূলের তরফে লিখিত প্রস্তাব নিয়ে আব্দুল মান্নান এবং সুজন চক্রবর্তীদের সঙ্গে দেখা করেন তাপস রায়। বাম ও কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, বয়ান
বদলের কথা।

সর্বদল প্রস্তাব প্রসঙ্গে সুজন-মান্নান
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন বিধানসভায় আব্দুল মান্নান বলেন, এখন যা হচ্ছে আগে কখনও হয়নি। ধর্মের জন্য কাউকে খুন হতে হয়নি। এই জন্যই সর্বদলীয় প্রস্তাব বলে জানিয়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের প্রস্তাবের পক্ষেই মত বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর।
এপ্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার চেষ্টা হলেও, তা সফল হবে না।
[আরও পড়ুন:ভুল ধরলেই লাথি! ভাবাবেগে আঘাত নিয়ে মমতা সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি বিধায়কের]
[আরও পড়ুন:'পার্কে গিয়েছিলাম, ৩ টে সাপ ফণা তুলে দাঁড়িয়েছিল', মমতা বললেন কোন অজানা কাহিনি ]