'দিদিকে বলো' নম্বরে ফোন করে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন আলিপুরদুয়ারের দম্পতির
দিদিকে বলো ফোন নম্বরে ফোন করে কাজ চাইছেন আলিপুরদুয়ার এর একটি নিঃস্ব পরিবার। যদি কাজ না জোটে তবে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করতে চাইছেন পরিবারের গৃহবধূ।
দিদিকে বলো ফোন নম্বরে ফোন করে কাজ চাইছেন আলিপুরদুয়ার এর একটি নিঃস্ব পরিবার। যদি কাজ না জোটে তবে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করতে চাইছেন পরিবারের গৃহবধূ।
২০১৬ সালে বাইক দুর্ঘটনার পর শয্যাশায়ী পরিবারের একমাত্র রোজগেরে আলিপুরদুয়ার থানার চাপড়ের পাড় ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বছর ৩৫-এর প্রদীপ মালাকার। নিজের সোনার দোকান থাকা সত্ত্বেও এখন পুরোপুরি বন্ধ দোকান। গত তিন বছরে জমানো টাকা দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। এই রাজ্যে ছাড়াও হায়দরাবাদ, ওড়িশা, বেঙ্গালুরুতে ডাক্তার দেখিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
এখন তার পরিবার সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন কিন্তু দেখবার জন্য কেউ নেই। স্ত্রী, মা এবং ছয় বছরে এক সন্তান নিয়ে থাকেন প্রদীপ।
অর্থের অভাবে ছেলের পড়াশুনার খরচও চালাতে পারছেন না। স্ত্রী সুস্মিতা মালাকার বলেন, আমি দুইদিন আগে দিদিকে বলো ফোন নম্বরে ফোন করি। এবং সেখানে চিকিৎসার জন্য খরচ এবং আমার একটা কাজের ব্যবস্থা যেন করে দেওয়া হয় তা বলি। না হলে আমাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমুতি দেওয়া হোক, এখন আমাদের অন্য কোনওভাবে বাঁচার রাস্তা নেই।
দম্পতির অভিযোগ, তাঁদের এখনও কোন জনপ্রতিনিধি বা আধিকারিক দেখা করতে আসেননি। আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া চাপড়ের পার ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্মশানখলা এলাকার বাসিন্দা এই পরিবার চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছে। জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা অবশ্য সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।