বিষমদকাণ্ডে খোঁড়া বাদশা-সহ চারজনের যাবজ্জীবন, সাজা ঘোষণা আলিপুর আদালতের
সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ডে খোঁড়া বাদশা-সহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল আলিপুর আদালত। বিচারক চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ঘোষণা করেন।
সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ডে খোঁড়া বাদশা-সহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল আলিপুর আদালত। শুক্রবার আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার এই মামলায় চারজনকে দোষীসাব্যস্ত করা হয়েছিল। অভিযুক্ত বাকিদের বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত।
প্রায় ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচার প্রক্রিয়া চলে সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ডে। তারপর বৃহস্পতিবার মামলা দোষীসাব্যস্ত করা হয়। শুক্রবার আলিপুর আদালত সাজা ঘোষণা করে। আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক পার্থসারথী চক্রবর্তী খোঁড়া বাদশার স্ত্রী শাকিলা বিবি-সহ ৬ জনকে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, এই মামলায় এখনও দু'জন অভিযুক্ত অধরা।
২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে ডায়মন্ডহারবার মহকুমার উস্তি-সহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিষমদ থেকে কমপক্ষে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। প্রথমে মগরাহাট ও উস্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে সিআইডি বিষমদ কাণ্ডের তদন্ত হাতে নেয়। সিআইডির চার্জশিটে বিষমদ-কাণ্ডে নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশাকে মূল অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তার স্ত্রী শাকিলা বিবিও এই কাণ্ডে অভিযুক্ত ছিলেন।
বিষমদ-কাণ্ডে সব মিলিয়ে ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে মোট ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মোট ৫৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছিলেন বিচারক। সেই সাক্ষ্যগ্রহণ ও বিচারপ্রক্রিয়া শেষে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল। বাকিদের বেকসুর খালাস মিলল।
[আরও পড়ুন: সবরিমালায় মহিলাদের প্রবেশের অনুমতির রায় দিতে গিয়ে ঠিক কী বলল শীর্ষ আদালত]