বিষমদে মৃত্যু বাড়ছে, নিশানায় পুলিশ, অপসারিত আবগারি ওসি
ক্যানিং ও বারুইপুরে বিভিন্ন গ্রামে চোলাই মদের রমরমা কারবারের নেপথ্যে পুলিশকেই দেখছে ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। অভিযোগ, মাসোহারার বিনিময়ে পুলিশ এলাকায় চোলাই ভাটিতে মদত দিচ্ছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২২ মার্চ : ক্যানিং ও বারুইপুরে বিভিন্ন গ্রামে চোলাই মদের রমরমা কারবারের নেপথ্যে পুলিশকেই দেখছে ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। অভিযোগ, মাসোহারার বিনিময়ে পুলিশ এলাকায় চোলাই ভাটিতে মদত দিচ্ছে। আর চোলাইয়ের ঠেকের বাড়বাড়ন্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে এক একটা পরিবার। এই বিষমদ কাণ্ডে বুধবার অপসারিত করা হয়েছে বারুইপুরের আবগারি ওসি রূপক চক্রবর্তীকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে এসেছেন মৌনিগা মিত্র।
এদিকে বারুইপুরের ঘোলাবাজার সংলগ্ন শিবনগরে বিষমদে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪-তে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে পুলিশ প্রশাসন। অসুস্থরা অনেকেই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে আরও চারজনকে। এই নিয়ে বারুইপুর ও ক্যানিংয়ে বিষমদে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হল মোট আটজনকে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মাত্র ছ'বর্গ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ১০টি চোলাই ভাটি। ঘোলাবাজার-শিবনগর এলাকায় সর্বদাই বাতাসে ভাসছে ঝাঁঝালো গন্ধ। এলাকায় চোলাই কারবারের দুই মাথা সুলতান ও আজিত মোল্লা। এরাই বিভিন্ন ঠেকে পৌঁছে দেয় চোলাই। প্লাস্টিক বন্দি সেইসব চোলাই বিষ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে খদ্দেরদের হাতে। আর তা খেয়েই মৃত্যু মিছিল।
প্রশাসনের নাকের ডগায় বহুদিন ধরেই এই ঘটনা ঘটে চলেছে। পঞ্চায়েত অফিসের গায়েই রয়েছে বারুইপুর থানার পুলিশ ক্যাম্প। পুলিশ চোখ বুজে থাকে। আর রমরমিয়ে চলে চোলাই কারবার। বিষমদের ছোবলে প্রাণ হয়ে ওঠে ওষ্ঠাগত। বিষমদে মৃত্যু বাড়ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ও বারুইপুরে। মঙ্গলবার নারী-পুরুষ মিলিত হয়ে এলাকার চারটি মদের ভাটিতে ভাঙচুর চালিয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ভাটিগুলিতে। ক্ষোভ বাড়ছে আরও।