মুখ্যসচিব হিসাবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই আস্থা মমতার! মেয়াদ বৃদ্ধি করতে কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যের
২০০ এরও বেশি আসন পেয়ে বাংলার মসনদে বসেছেন ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় বসেই একগুচ্ছ পরিবর্তন করেছেন তিনি। পুলিশ প্রশাসনে হয়েছ একাধিক রদবদল। সচিব পর্যায়েও রদবদল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যসচিব হিস
২০০ এরও বেশি আসন পেয়ে বাংলার মসনদে বসেছেন ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় বসেই একগুচ্ছ পরিবর্তন করেছেন তিনি। পুলিশ প্রশাসনে হয়েছ একাধিক রদবদল। সচিব পর্যায়েও রদবদল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসাবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই আস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রায় তিন মাস নির্বাচন কমিশনের হাত ছিল রাজ্যের ক্ষমতা।
সেই সময় কিংবা করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সামলেছেন তা নজর কেড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এমনটাই সূত্রের খবর।
কার্যকালের মেয়াদ বাড়াতে পারে রাজ্য
করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু অরে দিয়েছে নয়া সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম ভরসার লোক আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আমলার মুখ্যসচিব পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা এমাসের শেষেই। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার তাঁর কার্যকালের মেয়াদ আরও খানিকটা বাড়াতে চায় বলেই সূত্রের খবর।
কেন্দ্রের কাছে আবেদন রাজ্যের
ইতিমধ্যে কেন্দ্রের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের সরকারে একাধিক সময়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর বদল হয়েছে। কিন্তু যখন যে দফতরের সচিব হয়েছেন দায়িত্ব নিয়ে কাজ সামলেছেন। শুধু তাই নয়, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং মুখ্যসচিব হিসেবে আমফান এবং করোনার ধাক্কা সামলেছেন। তাছাড়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার উপরে ভরসা করেন। এ হেন আমলার মেয়াদ শেষ হলে সদ্যগঠিত সরকারের কাজ করতে অসুবিধা হতে পারে। আর সেই কারণে আলাপনের এম্যাদ বাড়াতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। রাজ্যের যুক্তি কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে আলাপনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। তাছাড়া নতুন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যেও সমন্বয় সাধন করতে পারবেন তিনি। যদিও এখনও এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, মুখ্যসচিবের মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেতের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কেন্দ্র যদি অনুমতি দেয়, তাহলে আগামী ৩ মাসের জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব থাকতে পারেন আলাপনই।
মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিব হিসাবে কাজ সামলেছেন তিনি
স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ,মুখ্যসচিব দুই পদেই সামলেছেন তিনি। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে তিনি মুখ্যসচিবের পদে বসেন। পশ্চিমবঙ্গ ১৯৮৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার। দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত। হাওড়াতে জেলা শাসক হিসাবে কাজ শুরু। এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কমিশনার হিসাবেও কাজ করেছেন আলাপন। রাজ্যের পরিবহণ, এমএসএমই সহ একাধিক দফতরে সচিব হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। শুধু তাই নয়, সাময়িকভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবেও কাজ করেছেন আলাপনবাবু। আর তাই করোনার এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।