বাংলায় মাটি শক্ত করছে আল দায়দা! উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে অন্তত ৩ টি মডিউলের খোঁজ গোয়েন্দাদের
বিভিন্ন খবরে প্রকাশিত হচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীর হোক কিংবা অসম আলকায়দার স্লিপার সেল সক্রিয়। কিন্তু এই রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে কায়দা ঘনিষ্ঠরা গ্রেফতার হলেও তারা যে ক্রমেই জাল বিস্তার করছে, যার প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। পুলি
বিভিন্ন খবরে প্রকাশিত হচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীর হোক কিংবা অসম আলকায়দার স্লিপার সেল সক্রিয়। কিন্তু এই রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে কায়দা ঘনিষ্ঠরা গ্রেফতার হলেও তারা যে ক্রমেই জাল বিস্তার করছে, যার প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। পুলিশের তৎপরতা কমের কারণেই এই পরিস্থিতি, বলছেন প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকরা।
৪ জন গ্রেফতার হতেই ভিন্ন তথ্য
গত কয়েক বছরে আল কায়দা পশ্চিমবঙ্গে দ্রুত বিস্তার লাভ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে (গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে) আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের চার সদস্য গ্রেফতার হওয়ার পরেই এব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সামনে এসেছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল দুজনকে। তারপরের সব তথ্য রাজ্যের গোয়েন্দাদের চমকে দিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে তিনটি মডিউল
রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট এই রাজ্যে তিনটি মডিউল তৈরি করে ফেলেছে। এই তিনটির মধ্যে একটি করে রয়েছে দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় এবং অপরটি রয়েছে উত্তরবঙ্গে। সূত্রের আরও খবর ধৃত চারজনকে জেরা করে বেশ কিছু নাম পাওয়া গিয়েছে। তাদের মধ্যে আবার বেশ কয়েকজন ধরাও পড়েছে। মুম্বই থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে সেখানে শ্রমিক সেজে ছিল। এছাড়াও দুই ২৪ পরগনা থেকেও একজন করে ধরা পড়েছে। তবে যাদের নাম পাওয়া গিয়েছিল, তাদের দুই তৃতীয়াংশের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ এবং গোয়েন্দারা।
তালিকায় বাংলাদেশি নাগরিকও
সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদে ইমাম নিয়োগের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা শুরু করেছেন অসম সরকার। তারা বলেছিল, বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে অসমে প্রবেশ করছে জঙ্গি সংগঠনের সহমর্মীরা। এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকেও সন্দেহজনক যেসব নাম পাওয়া গিয়েছে, তাদের কয়েকজন আবার বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। তাদের একজন আবার দক্ষিণ এশিয়ায় আল কায়দা সংগঠনের প্রধান বলেও সূত্রের খবর।
যেভাবে সংগঠন বাড়ানোর কাজ চলছে
বাংলাদেশ
থেকে
পশ্চিমবঙ্গ
হয়ে
বিহার
হোক
কিংবা
দক্ষিণভারতে
ছড়িয়ে
পড়ছে
জঙ্গি
সংগঠনের
সদস্যরা।
এব্যাপারে
তারা
আবার
এই
রাজ্যের
পরিযায়ীদের
দলের
সঙ্গী
হয়ে
ভিন
রাজ্যেও
পাড়ি
দিচ্ছে
বলে
জানা
গিয়েছে।
পরিযাযী
দলের
সঙ্গে
মিশে
মৌলবাদী
এবং
জঙ্গি
'মতাদর্শ'
প্রচার
করছে
তারা।
তবে
এই
রাজ্য
থেকে
এর
আগে
জেএমবি
জঙ্গিরাও
একইভাবেই
তাদের
শাখা
বিস্তার
শুরু
করেছিল।
তবে
গোয়েন্দারা
সক্রিয়
হয়ে
ওঠায়
পরে
আর
তা
জাল
বিস্তার
করতে
পারেনি।
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
ভারতে
অনুপ্রবেশের
ক্ষেত্রে
ত্রিপুরা
কিংবা
মেঘালয়ের
সীমান্তও
ব্যবহার
করছে
জঙ্গিরা।
সেই
পথেই
তারা
উত্তরবঙ্গে
এসে
জলপাইগুড়ি
এবং
কোচবিহারে
সংগঠন
বাড়াচ্ছে।
আর
সুবিধা
পেলে
দক্ষিণবঙ্গে
ঢুকছে
এবং
বেছে
নিচ্ছে
মুসলিম
সংখ্যাগরিষ্ঠ
জেলাগুলিকে।
কিংবা
হ্যান্ডলারের
নির্দেশে
চলে
যাচ্ছে
ভারতের
অন্য
কোনও
রাজ্যে।
বাংলায় জঙ্গলরাজ, তানাশাহী! ২০২৪-এ শিক্ষা দেবে জনগণ, অভিষেককে নিশানা বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের