আকাঙ্খা হত্যা মামলা: প্রেমিকের সন্দেহের জেরে গলা টিপে খুন, পরে পুঁতে রাখা হয় দেহ
অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে আকাঙ্খা শর্মার ,এই নিয়ে প্রেমিক উদয়নের সন্দেহ হয় । খুন হন আকাঙ্খা।
কলকাতা, ৩ফেব্রুয়ারি : ভোপালে খুন হওয়া বাঁকুড়ার মেয়ে আকাঙ্খা শর্মা হত্যা ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো। ঘটনায় ধৃত, আকাঙ্খার প্রেমিক উদয়ন দাসের বয়ান থেকে উঠে আসে ঘটনার একের পর এক চাঞ্চল্যকর মোড়।[আকাঙ্খা খুনে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি প্রেমিক উদয়নের]
জানা গিয়েছে, অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে আকাঙ্খা শর্মার ,এই নিয়ে প্রেমিক উদয়নের সন্দেহ হয় অনেকদিন ধরে। আর তার জেরেই আকাঙ্খার সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে উদয়নের। বচসার জেরে গলা টিপে আকাঙ্খাকে খুন করে দিল্লি আইআইটির ছাত্র উদয়ন দাস।[পুনের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী হত্যা: খুনের পর আত্মহত্যা করতে চায় অভিযুক্ত]
খুনের পর মৃত আকাঙ্খার দেহ পুঁতে রাখা হয় উদয়নের বাড়ির রান্না ঘরে। লোহার ট্রাঙ্ক- এর উপর কংক্রিটের গাঁথনি তুলে দেয় উদয়ন। উদয়ন,দেহটিকেও কংক্রিটের চাঙরে পরিণত করে , শুকনো সিমেন্ট দিয়ে। মৃতদেহের গন্ধ যাতে দূরে না যায়, তার জন্য মার্বেল দিয়ে বাঁধিয়ে রাখা হয়েছিল ওই কংক্রিটের বেদিকে। উদয়ন তার এক বন্ধুর সঙ্গে যোগসাজোস করে আকাঙ্খার দেহকে এভাবে লোপাট করার চেষ্টা করে। জানা গিয়েছে, আকাঙ্খার মৃত্যুর পর বাড়িতে বেশি কাউকে ঢুকতে দিতনা উদয়ন। সন্দেহ দূরে সরাতে আকাঙ্খার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে 'অন' থাকত উদয়ন।[৯ বছরের ছেলের দেহ ৬ টুকরো করে, রক্ত-মাংস খেল ১৬ বছরের কিশোর!]
গতবছর জুন মাসে আমেরিকায় চাকরি পাওয়ার নাম করে বাঁকুড়ার বাড়ি ছাড়েন ওই তরুণী। জানা যায়, তারপর আকাঙ্খা তাঁর প্রেমিক উদয়নের সঙ্গে ভোপালে থাকতেন একটি ফ্ল্যাটে। বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ফোনে। পরিবারের দাবি, মেয়ে যে নিখোঁজ, সেটা তাঁরা প্রথমে টেরই পাননি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায়, ৫ জানুয়ারি, প্রেমিক উদয়নের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে আকাঙ্খার পরিবার। এরপর ওই তরুণীর মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে গতকাল খুনের কিনারা করে বাঁকুড়া পুলিশ। ভোপালের সাকেতনগরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় আকাঙ্খার দেহ।['কোথা থেকে রক্ত বেরচ্ছিল?', ধর্ষিতার নাবালিকা বান্ধবীকে প্রশ্ন বিহারের বিধায়কের]
এদিকে, অভিযুক্ত প্রেমিককে আজ এরাজ্যে নিয়ে আসার সম্ভাবনা। তার বিরুদ্ধে রুজু হয়েছে খুনের মামলা। পুলিশ সূত্রে খবর, বাবার ব্যবসা সামলাত উদয়ন। তার মা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক। বর্তমানে তিনি আমেরিকায়। তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় দোষীর কঠোরতম শাস্তি চেয়েছে আকাঙ্খার পরিবার।