হাজার কোটির গ্রাউন্ড রিয়্যালিটি শূন্য, বঙ্গের বাম যুবনেত্রী ঐশী ছাড়লেন মোক্ষম বাণ
হাজার কোটির গ্রাউন্ড রিয়্যালিটি শূন্য, বঙ্গের বাম যুবনেত্রী ঐশী ছাড়লেন মোক্ষম বাণ
আর ও একটা ঝড় বয়ে গেল বাংলার উপর দিয়ে। এই ঝড়ের ফলে সব হারালেন কারা খেটেখাওয়া গরিব শ্রমিক ও কৃষক শ্রেণির মানুষেরা। এই অবস্থায় কোনও সরকারের তরফেই তাঁরা সেভাবে সাহায্য পাননি। প্রধানমন্ত্রী এসে হাজার কোটি অ্যাডভান্স প্যাকেজ ঘোষণা করে চলে গিয়েছেন। এবার দেখতে হবে, তা আদৌ সাধারণ মানুষের অ্যাকউন্টে যায় কি না!
হাজার কোটির গ্রাউন্ড রিয়্যালিটি শূন্য
ঐশীর কথায়, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া হাজার কোটির গ্রাউন্ড রিয়্যালিটি শূন্য। এই হাজার কোটির অনুদান সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছলে তবেই এর গুরুত্ব থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে গেলেন, তার কোনও ফল মিলল না, তাহলে কী হবে। এত বড় ঝড়ের পরও প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া কোনও সাংসদ-বিধায়ক-মন্ত্রীদের দেখা গেল না ঝড়বিধ্বস্ত এলাকায়।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের জাতীয় বিপর্যয়, তোপ
ঐশী বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করার কথা সবার আগে বলেছিলেন সিপিএম নেতা প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম। আর অম্ফানের পর সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ বিলি করলছেন। ময়দানে নেমে কাজ করছেন। দেখা যায়নি শাসকদলের নেতানেত্রী-বিধায়ক-সাংসদদের।
এসএফআইয়ের পক্ষে ঐশী ছাত্রছাত্রীদের পাশে
এদিন এসএইআইয়ের তরফে ছাত্রছাত্রীদের খাতা-বই পেন বিতরণ করেন নেত্রী ঐশী ঘোষ। স্যানিটারি ন্যাপকিন ও অন্যান্য স্যানিটারি আইটেমও বিতরণ করা হয় ছাত্রীদের। তিনি এই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, প্রতিদিনের জিনিস পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। আমরা তাই ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাসামগ্রী বিতরণের পরিকল্পনা নিয়েছি এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে। করোনা লকডাউনের সময় যাতে শিক্ষাব্যবস্থা লকডাউন না হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।
অনলাইন এডুকেশন প্রসঙ্গে ঐশী ঘোষ
তিনি বলেন, রাজয সরকার অনলাইন এডুকেশন চালু করেছে। কিন্তু আমাদের রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় অনলাইন এডুকেশনে রিফর্ম অসম্ভব। অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরই বই-খাতা কেনার সামর্থ নেই। স্মার্ট ফোন নেই, ইন্টারনেট ব্যবস্থা নেই রাজ্যের স্কুলে। ছাত্রছাত্রীদের পক্ষেও বাড়িতে সেই ব্যবস্থা করা অসম্ভব। অনলাইন এডুকেশনে তাই ডিজিটাল বিপ্লব হবে না বাংলায়।
এডুকেশন যাতে লকডাউন না হয়
ঐশীর কথায়, আমরা অনলাইন এডুকেশন পক্ষে এখনই মত দিতে পারছি না। কারণ ৮০ শতাংশের কাছে ইন্টারনেট নেই। কারও পক্ষে স্মার্ট ফোন কিনে অনলাইন এডুকেশনে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা তাই যেভাবে সম্ভব, পড়াশোনা চালু রাখার জন্য সামান্য বন্দোবস্ত করছি। যাতে ছাত্রছাত্রীরা এই লকডাউনের বাজারে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।
চিনের চোখ রাঙানির জবাব দিতে কোমর কষছে ভারত! লাদাখে শুরু তৎপরতা