রাস্তার ধূলো থেকেই প্রাথমিকভাবে বায়ু দূষণ হয়, প্রকাশিত সমীক্ষায়
বিপদজ্জনক বায়ু দূষণের সবচেয়ে বড়ো মাধ্যম হল রাস্তার ধূলো। কলকাতার বায়ুতে বস্তুকণার (পিএম) পরিমাণ ২৫। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র সরকারের এক সংগঠন। এই সমীক্ষা চালিয়েছে জাতীয় পরিবেশ ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট। রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের অনুরোধে তারা এই সমীক্ষা করেছে শহরে।
সমীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, রাস্তার ধূলো থেকে অধিকাংশ বস্তকণা পিএম২.৫ বায়ুর সঙ্গে মিশে যায়, যার সঙ্গে যুক্ত হয় বাড়ির ধোঁয়া ও গাড়ির কালো ধোঁয়া। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পিএম২.৫–কে সবচেয়ে বিপদজ্জনক বায়ু দূষণ হিসাবে বিবেচনা করেন। কারণ তারা আকারে ২.৫ মাইক্রনের চেয়ে আকারে ছোট। অতি–সূক্ষ্ম কণা ফুসফুসের গভীরতম ছিদ্রে প্রবেশ করতে পারে এবং তার ফলে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা এবং ক্যান্সার সহ আরও অনেক গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে।
এই সমীক্ষা থেকে আরও জানা গিয়েছে, যা সকলকে আরও বিস্ময় করে তা হল ডিজেল চালিত যান থেকেও মনে করা হচ্ছে বায়ু দূষণ হয়। কারণ এই যানগুলি বস্তুকণা২.৫–এর অন্য এক মাধ্যম। রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'এটি প্রাথমিক একটি রিপোর্ট এবং এটি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া গিয়েছে, চূড়ান্ত রিপোর্টে অনেক পরিবর্তন হবে।’ এ মাসের শেষে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা।
দূষণ পর্ষদ বোর্ডের বৈজ্ঞানিকদের এক দল বলেন, 'প্রাথমিক রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে, বোর্ড কলকাতা পুরসভাকে জানিয়েছে যে তারা যেন রাস্তায় জল ছড়ায় যাতে ধূলো না উড়তে পারে। রাস্তার ধূলোর মধ্যে মিশে থাকে সিলিকা, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম এবং কার্বণের কণা। যেগুলি রোগের মূল উৎস।’ এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের মাটি বিজ্ঞান ও জলবায়ু পরিবর্তন ডিভিশনের ডিরেক্টর সুমিত শর্মা বলেন, 'রাস্তার ধূলো প্রতিরোধ করা যায় যদি তা গুণগত মানের বিটুমিনাসের স্তর দিয়ে বাঁধানো থাকে।’