একুশের বাংলায় বদলের হাওয়া! মমতার চিন্তা বাড়িয়ে এবার কলকাতায় 'ঝড়' তুলবেন ওয়েইসি
পাখির চোখ একুশের বিধানসভা নির্বাচন। বিহারের সাফল্যের পর এবার বাংলার নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে কয়েকদিন আগেই ফুরফুরা শরিফে গিয়েছিলেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। ৩ জানুয়ারি হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরা শরিফে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করেন মিম প্রধান। জানিয়ে দেন, বাংলায় আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বে লড়াই করবে তাঁর দল। এই আবহে ফের কলকাতায় আসতে চলেছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
কলকাতার বুকে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির জনসভা
এবার কলকাতার বুকে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এক বিশাল জনসভা করতে চলেছেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই। যদিও এই জনসভা কবে হবে তার দিনক্ষণ নির্ধারণ হয়নি। এই সভার তোড়জোর ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন মিমের রাজ্য সভাতি জমিরুল হাসান। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ব্রিগেডে এই জনসভা হতে চলেছে।
রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলমান ভোট টানতে সভা-বৈঠক
বিধানসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎ করেই মিম এ রাজ্যে নিজেদের প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করে৷ সেই মতো মিমের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসির বাংলায় রাজনৈতিক সভা করার কথা রয়েছে৷ এমনকি রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলমান ভোট টানতে বিভিন্ন সংখ্য়ালঘু সংগঠনের সঙ্গেও তারা যোগাযোগ শুরু করেছে৷ যারপর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, বিহার নির্বাচনের মতো এ রাজ্য়েও মিম সংখ্য়ালঘু ভোটে ভাগ বসিয়ে বিজেপির সুবিধা করে দিতে পারে।
বঙ্গে মিমের 'উত্থান'
যদিও মিমের 'উত্থান' নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি বা বাম-কংগ্রেস কেউ-ই তেমন গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। তৃণমূলের দাবি, রাজ্য়ে মিমের শীর্ষ স্তরে ভাঙন ধরতে শুরু করেছে। যার শুরুটা হয়েছিল ২৩ নভেম্বর। সেদিন রাজ্য়ে মিমের শীর্ষনেতা আনোয়ার শাহ-সহ একাধিক সদস্য় তৃণমূলে যোগদান করেন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে আনোয়ার শাহ জানিয়েছিলেন, সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপ্য়ায়ের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি।
মুসলিম ভোট ভাগ হতে দিতে চায় না তৃণমূল
এর পর রাজ্য়ে মিমের যুব সংগঠনের সভাপতি-সহ মোট ৩০ জন তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে মহম্মদ শফিউল্লাহ খান জানিয়েছিলেন, যে কোনওভাবে রাজ্য়ে বিজেপিকে আটকানোই তাঁদের লক্ষ্য়। আর সেই লক্ষে পৌঁছাতে লংখ্য়ালঘু মুসলিম ভোট তাঁরা ভাগ হতে দিতে চান না। আর এখানেই কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে রাজ্য়ের শাসক দল।
বঙ্গ রাজনীতিতে মিমের সমীকরণ
রাজ্য়ের সংখ্য়ালঘু বিভিন্ন সংগঠন চায় না বিজেপি এ-রাজ্য়ে ক্ষমতায় আসুক। আর সেক্ষেত্রে বিজেপিকে আটকাতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, মিম যদি এ-রাজ্য়ে নিজেদের সামান্য় প্রভাব ফেলতে পারে, তবে আসন্ন বিধানসভায় বেশ কিছুটা সংখ্য়ালঘু ভোট তারা ভাঙিয়ে নেবে। যা আদতে বিজেপির সুবিধা করে দেবে।