বিশ্বজিৎকে নিয়ে কি এখনও ধোঁয়াশায় বিজেপি? শাহের সভায় আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে জল্পনা
বিশ্বজিৎকে নিয়ে কি এখনও ধোঁয়াশায় বিজেপি? শাহের সভায় আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে জল্পনা
বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে নিয়ে এখনও দোলাচলে বঙ্গ বিজেপি! আগামিকাল বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগর আসছেন কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর তাঁর সফরের ২৪ ঘন্টা আগেই নিমন্ত্রণ পেলেন না বিশ্বজিৎ দাস। বিধানসভায় মমতাকে প্রণাম করার কারণেই কি এখনও আমন্ত্রণ পেলেন না দলবদল করা এই বিধায়ক? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। যদিও বিষয়টি মোটেই তা নয় বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। কেন এখনও পর্যন্ত বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হল তা নিয়ে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের কাছে জানতে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। তবে আমন্ত্রণ পেলে অবশ্যই অমিত শাহের সভায় বিশ্বজিৎ যাবেন বলেই জানিয়েছেন।
বিধায়কের তৃণমূলে যোগের জল্পনা
গত কয়েকদিন আগেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে এগিয়ে যান বনগাঁর এই বিধায়ক। শুধু এগিয়ে যাওয়াই নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণামও করেন। প্রায় ২০ মিনিট কথা হয়। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং। এরপরেই দুই বিধায়কের তৃণমূল যোগ নিয়ে শুরু হয় জোর জল্পনা। যদিও তাঁরা দুজনেই জানান যে, উন্নয়নের বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে দুজনের। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই তাঁদের দুজনকেই দেওয়া হয় রাজ্যের নিরাপত্তা। তাতে দুই বিধায়কেরই তৃণমূলে যোগ নিয়ে শুরু হয় জোর জল্পনা। যদিও নোয়াপাড়ার বিধায়ক জানিয়ে দেন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তবে বনগাঁর বিধায়ককে নিয়ে এখনও কি ধোঁয়াশা রয়েছে বিজেপির অন্দরে? অন্তত আমন্ত্রণ পত্র না আসা নিয়ে এমনটা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরে
গোষ্ঠী কোন্দল বনগাঁতে!
ভোটের দিকে তাকিয়ে বনগাঁকে আলদা সাংগঠনিক জেলা হিসাবে দেখছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। একদিকে মতুয়া ভোট এবং অন্যদিকে অবশ্যই সীমান্তবর্তী অঞ্চল। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়াতে বিশেষ নজর রয়েছে বিজেপির। সম্প্রতি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি হয়েছেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ মনস্পতি দেব। যদিও মনস্পতি দেব হওয়াতেও মূলত শান্তনু ঠাকুর এবং দেবদাস মণ্ডলের হাতেই এলাকায় দল পরিচালনার মুল দায়িত্ব। ফলে এই দুই নেতার বিপরীতে থাকা বিশ্বজিৎ-এর ক্ষোভ রয়েছে। গত মাসখানেক আগেই মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে গিয়েছিল বনগাঁর এই তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু বিজেপিতে গেলেও তেমন ভাবে তাঁকে দেখা যায় না। এর উপর আবার শান্তনু ঠাকুরের বিপরীত লবি হওয়াতে আরও কোণঠাসা বিশ্বজিত। এবার বিধানসভা ভোটে টিকিট পাওয়া নিয়েও সংশয় রয়েছে। ফলে বনগাঁর এই বিধায়ককে নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।
বিজেপির নজরে মতুয়া ভোট!
২১ এর ভোট বিজেপির কাছে বাংলা দখলের কঠিন লড়াই। যেভাবেই হোক বাংলা দখল করতে চাইছে বিজেপি। আর তাই বিজেপির কাছে মতুয়া ভোট বড় ফ্যাক্টার। গত লোকসভা নির্বাচনে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের মতুয়া ভোট যায় বিজেপির কাছেই। বড় ধাক্কা তৃণমূলের কাছে। কিন্তু একবছরের বেশি সময় হয়ে গিয়েছে এখনও নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ বেড়েছে মতুয়াদের। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার মতুয়া গড়ে পা রাখছেন অমিত শাহ। রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেখান থেকে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কিছু বলেন কিনা সেদিকেই নজর গোটা দেশের।
স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে গণ্ডগোল তৃণমূলের অন্দরেই, উপপ্রধানের শ্লীলতাহানির অভিযোগ