সাতের আগেই হতে পারে বাংলায় নির্বাচন ঘোষণা, কত দফায় ভোট বাংলায়
সাতের আগেই হতে পারে বাংলায় নির্বাচন ঘোষণা, কত দফায় ভোট বাংলায়
এখনও ভোটের নিঘন্ট প্রকাশ হয়নি। তবে ইতিমধ্যে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। একদিকে চলছে শাসক-বিরোধী প্রচার। অন্যদিকে অবাধ এবং সুষ্ঠ ভাবে ভোট করতে সবরকম প্রস্তুতি চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এই অবস্থায় আজ বুধবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ স্থির করতে বৈঠকে বসে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। দীর্ঘক্ষণ এই বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, খুব শিঘ্রই রাজ্যে বিধানসভা ভোট ঘোষণা করতে পারে কমিশন
৭ তারিখের মধ্যেই হতে পারে ভোট ঘোষণা
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার মেয়াদ ফুরোচ্ছে ৫ মে। তার আগেই ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। আর তাই ৭ মার্চের মধ্যেই ভোট ঘোষণা করে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ছয় তারিখ ভোট ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তবে সম্ভবত, বাংলায় ভোট হবে ৬ থেকে ৭ দফায়। বুধবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠক থেকে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা, ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। দু'দফায় হয় সেই বৈঠক। আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে প্রথম দফার বৈঠক।
৭০০০ বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে
চলতি বছরেই অসম, কেরল, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গ এই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। ভোটের আগেই বাংলায় চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোন রাজ্যে কত দফায় ভোট হবে, কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে, এই সব বিষয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, এ রাজ্যের ৭০০০ বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও করোনার কারনে বাংলায় বুথের সংখ্যাও বাড়ছে। প্রায় লক্ষাধিক দাঁড়াচ্ছে বুথের সংখ্যা। বিরোধীরা সমস্ত বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। সেখানে ঠিক কত বাহিনী বাংলার জন্যে প্রয়োজন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন বলে ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে কমিশনকে জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
দ্বিতীয় ওয়েভের আতঙ্ক নিয়েও কথা
ভারতে নতুন করে ফের করোনার প্রভাব। বাড়ছে সংক্রমণ। অনেকেই বলছেন এটি নাকি সেকেন্ড ওয়েভ। এই অবস্থায় চার রাজ্যে ভোট। ফলে
বৈঠকে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের আতঙ্ক নিয়েও কথা হয়েছে। যাতে নিরাপদে ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে চায় কমিশন। বয়স্ক নাগরিকদের কথাও বিশেষ ভাবে মাথায় রেখে পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। পিপিই কিট কিংবা মাস্ক কোথায়, কিভাবে পাঠানো হবে, তা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করছেন কমিশনের আধিকারিকরা।
রাজ্যে আসছেন সুনীল অরোরা ও সুদীপ জৈন
গত কয়েকমাস আগেই বাংলায় ঘুরে গিয়েছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ফের পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছেন সুনীল অরোরা ও সুদীপ জৈন। কমিশন সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার রাজ্যে আসবেন তিনি। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে এবারের সফরে। ইতিমধ্যেই সিইও দফতর থেকে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের এক প্রকারের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে বলেই কমিশন সূত্রে খবর। শুধু তাই নয় এখনও পর্যন্ত জেলাগুলির ভোট প্রস্তুতি কেমন, তা নিয়ে নির্দিষ্টভাবে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তৈরি করে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে বলেই কমিশন সূত্রে খবর।
রায়দিঘির প্রতি 'অভিমানী', রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে 'বড়' সিদ্ধান্ত দেবশ্রীর