বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট করানো চ্যালেঞ্জ কমিশনের, আসছেন দুই আইপিএস পর্যবেক্ষক, থাকছেন এক স্পেশাল পর্যবেক্ষকও
অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাটা রীতিমত চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। কারন কমিশনের কাছে বাংলায় ভোট করানোর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ভালো নয়। বারবারব প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কমিশনকে। সেখানে দাঁড়িয়ে আরও কড়া কমিশন। রেকর্ড ভেঙে আট দফায় ভোট
অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাটা রীতিমত চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। কারন কমিশনের কাছে বাংলায় ভোট করানোর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ভালো নয়। বারবারব প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কমিশনকে। সেখানে দাঁড়িয়ে আরও কড়া কমিশন। রেকর্ড ভেঙে আট দফায় ভোট হচ্ছে বাংলায়। থাকছে কড়া নিরাপত্তা।
দুজন আইপিএস অর্বজার্ভার নিয়োগ
সুষ্ঠ এবং অবাধ ভোট করাতে দুজন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানান, পশ্চিমবঙ্গের ভোটে দুজন আইপিএস পর্যবেক্ষক। প্রথম জন বিবেক দুবে। যিনি কিনা অন্ধ্রপ্রদেশ ক্যাডারের ১৯৮১ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। গত লোকসভা ভোটে বাংলাতেই পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন। ফলে বাংলাতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সেই কারনে বিবেক দুবের উপরেই ভরসা রাখছে কমিশন। এর সঙ্গে রয়েছেন মৃনাল কান্তি দাস। তিনি মনিপুর ক্যাডারের ১৯৭৭ ব্যাচের আইপিএস অফিসার ছিলেন।
থাকছে স্পেশাল পর্যবেক্ষক
অবাধ ভোট করাতে বাংলায় স্পেশাল পর্যবেক্ষক নিয়োগ করছে নির্বাচন কমিশন। স্পেশাল পর্যবেক্ষক হিসাবে থাকছেন অজয় নায়েক। ৮৪ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার বাংলায় ভালো ভাবে ভোট করানোর দায়িত্বে থাকছেন। অজয় নায়েক বিহারের মুখ্য নির্বাচন অফিসার ছিলেন। তাঁর কথা বলতে গিয়ে এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, দ্য বেস্ট অফ দ্য বেস্ট অফিসার হচ্ছেন তিনি। ফলে বোঝাই যাচ্ছে কতটা ভরসা করছে কমিশন তাঁর উপর।
থাকছেন এক্সপেন্ডিচার পর্যবেক্ষক
এই পদের জন্যে নিয়োগ করা হবে বি মুরলীকুমারকে।
বাংলার আশঙ্কাশৃঙ্খলা ইস্যুতে আশঙ্কা
ভোট ঘোষণার আগে একাধিকবার বাংলায় এসেছে নির্বাচন কমিশনার। বাংলায় এসেছেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। ফুল বেঞ্চেই এসেছেন তিনি। বাংলায় এসে একাধিকবার দফায় দফায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্য প্রশাসন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জেলা সুপার, শাসকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। ইন্তু কোথায় একটা বাংলার আশঙ্কাশৃঙ্খলা ইস্যুতে আশঙ্কা রয়েছে কমিশনের। আর তাই ইতিমধ্যে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত কমিশন নিয়েছে। ভোট ঘোষণার আগেই বাংলায় এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আসছে আরও। ফলে এরপরেও ভোট কতটা অবাধ করতে পারবে কমিশন? সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিকমহল।
মানুষ ভোট দিক, মোদীর কাছে জানিয়ে ছিলেন শুভেন্দু-রাজীবরা
বাংলায় অশান্তি সবাই জানে। ভোট ঘিরে ঘটে মৃত্যু। সেখানে দাঁড়িয়ে মানুষ যাতে ভালো ভাবে ভোট দিতে পারেন সেদিকটা নিশ্চিত করতে মোদীকে জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা। পালটা তাঁদেরকে আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন ভালো ভাবেই ভোট হবে। সেখানে দাঁড়িয়ে কমিশনও আঁটসাঁট ব্যবস্থা রাখছে।