ফিরহাদের অভিযোগ পাওয়ার পরেই মোদীর মুখের ছবি সরানোর নির্দেশ কমিশনের
ইতিমধ্যে ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচনের জন্যেও বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়ে গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ভোট ঘোষণার পরেই আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে যায়।
ইতিমধ্যে ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচনের জন্যেও বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়ে গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ভোট ঘোষণার পরেই আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে যায়।
এই সময় বেশ কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হয়। কোনও সরকারি প্রকল্পের প্রচার করা যায় না। এমনই একবগুচ্ছ কিছু নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। অভিযোগ পাওয়া মাত্র ব্যবস্থা নিল নির্বাচন কমিশন।
সমস্ত পেট্রোল পাম্প থেকে মোদী সরানোর নির্দেশ
এখনও বেশ কিছু পেট্রোল পাম্পে মোদীর ছবি ঝোলানো রয়েছ। মানা হচ্ছে না নিয়ম। এহেন অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে কমিশন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পেট্রোল পাম্প, মালিকদের কমিশনের নির্দেশ, ৭২ ঘন্টা সময়সীমার মধ্যে সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন মুছে ফেলার নির্দেশ। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি প্রকল্পের কোনও প্রচার আর করা যাবে না। যেহেতু আচরণ বিধি লাগু হয়ে গিয়েছে সেক্ষেত্রে মানতে হবে নিয়ম। নিয়ম অনুযায়ী, অবিলম্বে তা মুছে ফেলতে হবে। কোনও রাজনৈতিক দল যদি তার প্রচার করে তাহলে তা ব্যক্তিগত গণ্ডির মধ্যে করতে হবে। সেটার জন্যও অবশ্য অনুমতি নিতে হবে।
পাম্পে মোদীর ছবি! ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ
বুধবার সকালে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন বিধায়ক তথা তৃণমূলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিজ্ঞাপনে ভোট ঘোষণার পরেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সেই বিরোধিতা করেই এদিন কমিশনের দ্বারস্থ হন তিনি। ফিরহাদ অভিযোগ করে বলেন যে, কার্যকর হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে এখনও দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। কোভিড ভ্যাকিসিনেশন সার্টিফিকেটেও মোদীর ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ফিরহাদের। এমন ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন ভোটারদের প্রভাবিত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ফিরহাদের।
অভিযোগ খতিয়ে দেখে কমিশন
ফিরহাদের অভিযোগ পাওয়া মাত্র নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। সত্যিই এমন কিছু হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন কমিশনের আধিকারিকরা। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়ে দেয়, নিয়মানুযায়ী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলতে হয়। সেই মতো বিভিন্ন পাম্পে মোদীর ছবি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সহ যে যে সমস্ত রাজ্যে ভোট রয়েছে সেখানেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
ভোট ঘোষণার পরেই সরানো হয় মমতার ছবি
ইতিমধ্যে, ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আর তা হতেই রাজ্যে সর্বত্র মমতার ছবি ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড সহ শহর এবং শহরতলির যেখানে যেখানে মমতার ছবি রয়েছে সরকারি ক্ষেত্রে সেগুলি ইতিমধ্যেই ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।