নন্দীগ্রামে মমতার বাড়ির সামনেই পোড়ানো হল তৃণমূলের পতাকা, ফেস্টুন, পাঠানো হল ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
হাতে আর মাত্র ২৪ ঘন্টা! এরপরেই রাজ্যে প্রত্যাবর্তন নাকি পরিবর্তন ঘটবে তা স্পষ্ট হবে। ক্রমশ উত্তেজনার পারদ চড়ছে। শুধু রাজ্যই নয়, দেশের নজর বাংলার দিকে। এবার বাংলায় বিশেষ নজর দেয় বিজেপি। জে পি নাড্ডা থেকে অমিত শাহ কার্যত ব
হাতে আর মাত্র ২৪ ঘন্টা! এরপরেই রাজ্যে প্রত্যাবর্তন নাকি পরিবর্তন ঘটবে তা স্পষ্ট হবে। ক্রমশ উত্তেজনার পারদ চড়ছে। শুধু রাজ্যই নয়, দেশের নজর বাংলার দিকে। এবার বাংলায় বিশেষ নজর দেয় বিজেপি। জে পি নাড্ডা থেকে অমিত শাহ কার্যত বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন।একের পর এক সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিবর্তনের পরিবর্তনের জন্যে বাংলয় দাঁড়িয়ে আওয়াজ তুলেছেন।
তবে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, বাংলায় ফিরছেন মমতাই। তবে আসন সংখ্যা অনেকটাই কমবে। আর ভোট গণনার ২৪ ঘন্টা আগে বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর সামনে আসছে।
তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তেজনা নন্দীগ্রামে
রাত পোহালেই গণনা। মমতা নাকি শুভেন্দু কোন পথে নন্দীগ্রামে? সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশের মানুষ। আর সেখানেই উত্তেজনার খবর। নন্দীগ্রাম দু নম্বর ব্লক রেওয়াপাড়া গিরি মোড়ের কাছে তৃণমূলের পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে পোড়ানোর অভিযোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেয়াপাড়ার অস্থায়ী বাড়ির একবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একের পর এক তৃণমূলের পতাকা, ফেস্টুন পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। আর সেখানেই উত্তেজনার খবর। ইতিমধ্যে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানোতর
তৃণমূলের অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা জড়িত। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাঁদের ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। এই ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না বলে অভিযোগ শাসকদলের। যদিও পালটা দাবি বিজেপির হেরে যাওয়ার ভয়েই এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। স্থানীয় এই বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, পতাকা ছেঁড়া, বাড়ি ভাঙচুর এটা বিজেপির সংস্কৃতি নয়। ওরাই এই ঘটনা ঘটিয়ে বিজেপির উপর দায় চাপাচ্ছে বলে অভিযোগ।
১০০ জওয়ান পাঠাচ্ছে কমিশন
রাত পোহালেই ভোট গণনা। নন্দীগ্রামে শেষ হাসি কে হাসবে? তৃণমূল নেত্রী নাকি শুভেন্দু অধিকারী। সেদিকে নজর থাকবে দেশের মানুষের। যদিও দুজনেরই অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর আত্মবিশ্বাস নন্দীগ্রামে তারাই জিতছেন। ভোট গ্রহনের মতোই ভোট গণনাতেও নন্দীগ্রামে কড়া ব্যবস্থা রাখছে কমিশন। জানা যাচ্ছে, স্পর্শকাতর, অতি স্পর্শকাতর এই জোনে ভাগ করা হয়েছে নন্দীগ্রামকে। সেই মতো পুলিশ পিকেটিং করা হবে। মোতায়েন হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গণনার আগেই নন্দীগ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই বাহিনী গণনার দিন এবং ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ঠেকাতে মোতায়েন করা হবে ।
সতর্ক কমিশন
নন্দীগ্রাম নিয়ে প্রথম দিন থেকেই সতর্ক ছিল নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন গোটা নন্দীগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সিল করে দেওয়া হয় এলাকা। ঘাটে নৌকা পারাপার বন্ধ করে দেওয়া থেকে শুরু করে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। জানা যাচ্ছে, গণনার দিনও একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন। সেদিনও সম্ভবত নন্দীগ্রাম সিল করে দেওয়া হতে পারে। যে কোনও ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে সতর্ক নির্বাচন কমিশন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে যে, অশান্তি এড়াতে একটা রেইকি করে রাখা হয়েছে। কোথায় কোথায় পুলিশ পিকেট করা হবে। বাহিনী কোথায় মোতায়েন করা হবে সে বিষয় আলোচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক।
বিজয় মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা
২৬ এপ্রিল মাদ্রাজ হাইকোর্টের তরফে ভারতের নির্বাচন কমিশনের প্রতি তীব্র ভর্ৎসনা উঠে আসে। ভোটের জেরে করোনা পরিস্থিতি আরও গুরু গম্ভীর হলে ভোট গণনা স্থগিত করার বার্তাও আসে আদালতের তরফে। এরপর নির্বাচন কমিশন ২ রা মে ভোট গণনার দিন বিজয় মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই মতো নন্দীগ্রামেই কোনও বিজয় মিছিল হবে না। সে বিষয়টী পুলিশকে সতর্ক থাকার জন্যে বলে দিয়েছে।