খোদ কলকাতায় তৃণমূল প্রার্থীর হেরে যাওয়ার আশঙ্কা! সরানো হল দুই ওয়ার্ড সভাপতিকে
ভোটের মুখে খোদ কলকাতায় গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ! সামনেই ভোট। আর ভোটের আগে গোষ্ঠী কোন্দল ভুলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোটের মুখে খোদ কলকাতায় গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ! সামনেই ভোট। আর ভোটের আগে গোষ্ঠী কোন্দল ভুলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ সেখানে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। যদিও দলে কোনও সমস্যা নেই বলেই দাবি নেতৃত্বের। সবাই একজোট হয়ে কাজ করছে বলেই দাবি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। তবে খোদ কলকাতা এমন ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই বেড়েছে অস্বস্তি।
দু’টি ওয়ার্ডের সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যে চিঠি!
জানা যাচ্ছে, বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত দু'টি ওয়ার্ডের সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত বক্সীকে চিঠি দিয়েছেন কসবার তৃণমূল প্রার্থী জাভেদ খান। সেইমতো দু'জনকে পদ থেকে সরানোও হয় বলে সূত্রের খবর। যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের তত্ত্ব মানতে নারাজ দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমার। বাংলা এক সংবাদমাধ্যমকে দেবাশিষবাবু জানিয়েছেন, দু'জনকে অন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ভারই সামলাচ্ছেন তাঁরা।
হারিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা তৃণমূল প্রার্থীর
দলের কাছে ভোটের আগে চাঞ্চল্যকর আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন জাভেদ খান। তাঁর আশঙ্কা, তিনি হেরে যেতে পারেন। তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হতে পারে। আর সেই কারনেই ওই দুই ওয়ার্ড সভাপতিকে সরিয়ে দিতে চান জাভেদ খান। ইতিমধ্যে এই বিষয়টি উল্লেখ করে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সুব্রত বক্সিকে চিঠিও দিয়েছেন জাভেদ খান। দলও তা মান্যতা দিয়ে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে জাভেদ-অনুগামী রবীন দাস এবং ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে জাভেদ খানের ছেলে ফৈয়াজ আহমেদ খানের অনুগামী বলাই সমাজপতিকে ব্লক সভাপতি করে বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর।
এক নজরে ঘটনা!
প্রকাশিত সংবাদ বলছে, লোকসভা নির্বাচনে বাংলার একাধিক জায়গাতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তেমনই কলকাতারও বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়ে শাসকদল। যার মধ্যে কলকাতার ১০৭ এবং ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল বিজেপির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বলে খবর। ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৭০০ ভোটে এবং ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৫০০ ভোটে পিছিয়ে ছিল শাসকদল। ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন মণীন্দ্র দত্ত। তৃণমূলের অন্দরেরই অভিযোগ করেন জাভেদ। আর তাতেই নাকি বিপত্তি।
ঘটনার মধ্যে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই!
বাংলা এক সংবাদমাধ্যমে দেবাশীষ কুমার বিষয়টির মধ্যে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই বলেই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ওয়ার্ড সভাপতি যাঁরা ছিলেন, দল তাঁদের অন্য দায়িত্ব দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কাজই সামলাচ্ছেন তাঁরা। কোনও ঘটনা ঘটেনি এমন যাতে হৈ হৈ রব ওঠে। সবাই একসঙ্গে মিলেই ফের একবার তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করছে বলেই জানিয়েছেন দেবশীষবাবু।