দিদির তালিকায় হল না ঠাই! ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট আরাবুলের
একগুচ্ছ চমক রেখেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো! আর সেই তালিকায় বাদ পড়লেন অনেক চেনা মুখই। একেবারে তরুণ ব্রিগেডের উপর ভরসা রেখেই যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট বৈতরণী পাড় করতে চলেছেন তা কার্যত স্প
একগুচ্ছ চমক রেখেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো! আর সেই তালিকায় বাদ পড়লেন অনেক চেনা মুখই। একেবারে তরুণ ব্রিগেডের উপর ভরসা রেখেই যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট বৈতরণী পাড় করতে চলেছেন তা কার্যত স্পষ্ট।
কিন্তু প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় একাধিক জায়গা থেকে ক্ষোভ-বিক্ষোভের খবর আসছে। যা ঠেকানোই শাসকদলের কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বিস্ফোরক আরাবুল ইসলাম
প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভাঙরের হেভিওয়েট আরাবুল ইসলাম। শুধু তাই নয়ম, ফেসবুকেও পোস্ট করেছেন আবেনঘন বার্তা। তিনি লিখেছেন, 'দলে আমার প্রয়োজন ফুরালো' ! তবে আগামিদিনে তাঁর অনুগামীরা যা চাইবেন সে পথেই হাঁটবেন বলে জানিয়েছে আরাবুল। অর্থাৎ ভাঙরে নির্দল হয়েও দাঁড়াতে পারেন তিনি। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি।
কেঁদে ফেললেন আরাবুল!
এখনও ভাঙরে আরাবুলের নামে কাঁপে গোটা এলাকা। অনেকে বলেন, তাঁর অঙ্গুলিহেলনেই নাকি চলে ভাঙর। সেই আরাবুলেই চোখেই জল। প্রার্থী তালিকাতে নাম নেই। এই খবর তাঁর কাছে যাওয়া মাত্র রেগে ওঠেন আরাবুল। এরপরেই আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের সামনেই কেঁদে ফেলেন তিনি। বলেন, মমতার সঙ্গে যারা থাকেন, যারা বেশি ভালোবাসেন তাঁরাই বেশি বঞ্চিত। শুধু তাই নয়, তাঁর মতে, করিম হোক বা যেকোনও লাটের বাট হোক সেটা ভাঙড়ের মানুষ বুঝে নেবে। মানুষ যেটা বলবে সেটাই করব বলে জানিয়েছেন আরাবুল। তবে এক সংবাদমাধ্যমে আরাবুল জানিয়েছেন, আমি আর দলের সঙ্গে নেই। তবে দল আর করবেন না আর করবেন না সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
আইএসএফে যোগ দিতে পারেন আরাবুল
সূত্রের খবর, তৃণমূল ছেড়ে আইএসএফে যোগ দিতে পারেন আরাবুল ইসলাম। যদিও আরও এক ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছে স্বপুত্র তিনি বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন। যদিও তিনি বলেন, 'আমার অনুগামীরা যা বলবেন আমি তাই করব। এমনকি নির্দল হয়ে এবার ভোটে দাঁড়াতে পারেন বলেও জানা যাচ্ছে।
একের পর এক বিতর্ক
প্রসঙ্গত, বামেদের গড় বলে পরিচিত ভাঙরে বিধায়ক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন আরাবুল ইসলাম। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, পরে আব্দুল রেজ্জাক মোল্লা সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কোণঠাসা হয়ে পড়েন আরাবুল।। তাঁর একাধিক কাজকর্মে বিরক্ত হয়েছিল দল। ভাঙর কলেজে শিক্ষিকাকে জগ ছুড়ে মারা থেকে শুরু করে একাধিক দল বিরোধী এবং সমাজ বিরোধী কাজের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। যার জেরে তৃণমূল ৬ বছরের জন্য তাকে সাসপেন্ড করে। যদিও ২ বছর পরই তাকে ফিরিয়ে নেয় ঘাসফুল শিবির। তারপর অবশ্য তাকে আগের ভূমিকায় দেখা যায়নি। এবারের বিধানসভায় ভাঙড় থেকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে মহম্মদ রেজাউল করিমকে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ আরাবুল।