ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় কোনও আপস নয়, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের কড়া বার্তা কমিশনের
নন্দীগ্রামে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে! দীর্ঘদিন আগেই এই পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল। মারাত্মক অভিযোগ তৃণমূলের। পালটা বিজেপির দাবি, ঘটনার ভিডিও সামনে নিয়ে আসুক কমিশন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানোতরে
নন্দীগ্রামে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে! দীর্ঘদিন আগেই এই পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল। মারাত্মক অভিযোগ তৃণমূলের। পালটা বিজেপির দাবি, ঘটনার ভিডিও সামনে নিয়ে আসুক কমিশন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানোতরে চড়ছে পারদ।
তবে এই ঘটনার পর আরও কড়া এবং সতর্ক নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে আগামিদিনে এমন ঘটনা যাতে আর ঘটে সেদিকে তাকিয়ে বিশেষ নজর কমিশনের।
ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিয়ে আপোস নয়!
ভোটের মুখে বাংলায় যাতায়াত বাড়ছে ভিভিআইপিদের। দফায় দফায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী, সরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই অবস্থায় কোনওভাবেই ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার নিয়ে আর যে আপস করবে না কমিশন। আজ শুক্রবার মেদিনীপুর ছুটে যান কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। দফায় দফায় সেখানকার ডিএম-এসপিদের সঙ্গে বৈঠক করেন দুই পর্যবেক্ষক। সেখানেই স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে কোনও ভাবেই প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের মতো ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার নিয়ে কোনও আপস কা যাবে না। সবরকম ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জেলা শাসকদের। এমনটাই নির্দেশ!
ভোট প্রস্তুতি নিয়েও বৈঠক
অন্যদিকে সামনেই প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার ভোট । কেমন ভোট প্রস্তুতি তাও জানার চেষ্টা করেন দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক। পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। তাঁদের কাছ থেকেই ভোট প্রস্তুতি নিয়ে খোঁজখবর নেন আধিকারিকরা।
করতে হবে ওয়েবকাস্টিং!
ভোটে এবার আরও কড়া কমিশন। অন্তত নন্দীগ্রাম ইস্যুর পর কোনওভাবেই খামতি রাখতে চাইছে না কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকেই পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া যাবেন এই দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক। এই সমস্ত জায়গাতে প্রথম দফায় ভোট রয়েছে। ভোট প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার জন্য এই দুই জেলায় আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা বলেই কমিশন সূত্রে খবর। অন্যদিকে, শুক্রবার এর বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে কোন বুথে ঝামেলা হলে তার ওয়েব কাস্টিং করতে হবে। ওয়েব কাস্টিং না হলে সেই বুথ গুলিতে পুনরায় ভোট নেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে
প্রথম দফার ভোটের আগেই বাংলায় আসছে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৪৯৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে পারে বলে খবর। বাহিনী নিয়েও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে খবর। কমিশন সূত্রে খবর প্রথম দফায় প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৮ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে বুথের বাইরের অংশে রাজ্য পুলিশকে কাজে লাগানো হতে পারে।
বুথ পিছু ৬ থেকে ৮ জন জওয়ান
২৫ মার্চের মধ্যে এই অতিরিক্ত বাহিনীর রাজ্যে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ছড়িয়ে থাকা বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি থাকবে আধা সামরিক বাহিনীও। বুথ পরিচালনার পাশাপাশি তারা এরিয়া ডমিনেশনের কাজেও বহাল থাকবে। প্রথম দফায় বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও দুই মেদিনীপুরে মোট ৩০টি আসনে ভোট হবে, সব মিলিয়ে ১০ হাজার ২৮৮টি বুথে। মাও অধ্যুষিত এই আসনগুলিতে বুথ পিছু ৬ থেকে ৮ জন জওয়ান মোতায়েন রাখতে চাইছে কমিশন।