করোনা গ্রাফ বিপজ্জনক হলেও সূচি অনুযায়ী বাংলায় চারটি সভা করবেনই মোদী
বাংলাজুড়ে চলছে ভোট পর্ব। ইতিমধ্যে পাঁচ দফার ভোট সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। বাকি আর মাত্র তিন দফা। কিন্তু যেভাবে করোনার সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ উপরের দিকে উঠছে তাতে আতঙ্ক বাড়ছে। বিশেষত কলকাতা এবং দু ২৪ পরগণাতে সংক্রমণ সর্বাধিক।
বাংলাজুড়ে চলছে ভোট পর্ব। ইতিমধ্যে পাঁচ দফার ভোট সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। বাকি আর মাত্র তিন দফা। কিন্তু যেভাবে করোনার সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ উপরের দিকে উঠছে তাতে আতঙ্ক বাড়ছে। বিশেষত কলকাতা এবং দু ২৪ পরগণাতে সংক্রমণ সর্বাধিক।
এই অবস্থায় সমস্ত ধরনের মিটিং, মিছিল বন্ধ করার দাবি উঠতে শুরু করেছে। সেই দাবি মেনে অবশ্যই একাধিক রাজনৈতিক দল বড় ধরনের আর কোনও জমায়েত এই অবস্থায় করবে না বলেই জানাচ্ছে। তবে সভা কিংবা মিছিল বন্ধ করা নিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বিজেপি।
মোদীর সবকটা সভাই হবে বাংলাতে
ভোটের মধ্যেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা কোনও বড় সমাবেশ করবেন না বলে ঘোষণা করেছেন। শুধু কলকাতাতেই নয়, মানুষের কথা ভেবে তাঁর সভার সময় কিছুটা কমাবেন তিনি। বড় র্যালি, সমাবেশ করবে না বলে জানিয় দিয়েছে বামেরাও। কিন্তু এখনও বড় মিটিং, র্যালি বন্ধ করা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত তেমনভাবে জানায়নি বিজেপি। তবে জানা যাচ্ছে। রাজ্যের ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও জনসভা বাতিল হবে না। কোভিড বিধি মেনেই এই জনসভাগুলি হবে। বিজেপি সূত্রে এমনটাই খবর। রাজ্যের তিন দফার নির্বাচন বাকি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এখনও চারটি জনসভা করার কথা। সূচী অনুযায়ীই ওই সভাগুলি হবে বলে জানা গিয়েছে।
কোভিড প্রটোকল মানা নিয়ে প্রশ্ন
প্রধানমন্ত্রী আসবেন, সভা করবেন। তার জন্যে গত কয়েকদিন ধরে চলে মহড়া। নিরাপত্তা থেকে সমস্ত কিছুতে ভিড় থাকে। করোনার সংক্রমনের সমত সোশ্যাল ডিসটেস্ট মেনে সবকিছু করা সম্ভব যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যায়। এমনকি সভার দিনেও কোভিড প্রটোকল মানা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। যদিও জায়েন্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই সভা করার কথা ভাবছে বিজেপি। সভাস্থলে লাগানো হবে বড় এলইডি স্ক্রিন। নির্দেশ দিয়েছে পিএমও দফতর। ট্যুইট করে ইতিমধ্যেই সেই কথা জানিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
কলকাতা আর প্রচার না করার সিদ্ধান্ত
গোটা দেশে অন্যান্য শহরের মতোই রাজ্যেও করোনা সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কলকাতা আর প্রচার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাতে টুইট করে একথা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তবে ২৬ এপ্রিল তিনি একটি প্রতিকী সভা করবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে সেখানেও খুব অল্প মানুষেরই সমাবেশ ঘটবে।
৩০ মিনিটের বেশি কোথাও সভা নয়, সিদ্ধান্ত মমতার
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কলকাতায় প্রচার বন্ধ করার কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্বশীল রাজ্যের প্রধান হিসেবেই মতোই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল রাত প্রায় ১২টা নাগাদ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ টুইট করে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কলকাতায় প্রচার করবেন না। কেবল মাত্র ২৬ এপ্রিল কলকাতায় একটি প্রতিকী সভা করবেন তিনি। শুধু তাই নয় এবার থেকে যে সব জেলায় তিনি মিটিং, মিছিল এবং জনসভা করবেন সেগুলি আধঘণ্টা বা ৩০ মিনিটের বেশি হবে না।
একই পথে বামেরা
দলের তরফে গত কয়েকদিন আগেই মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, আগামী তিন দফার নির্বাচনে ভিড় এড়াতে আর বড় কোনও সমাবেশ বা জমায়েত করবে না দল৷ বরং মানুষকে সচেতন করার উপরেই বেশি জোর দেওয়া হবে৷ সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ সংযুক্ত মোর্চার বাকি শরিক দলগুলিকেও বাকি তিন দফায় বড় জমায়েত এড়িয়ে চলার জন্য সিপিএমের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে৷
করোনা নিয়ে মোদীকে চিঠি
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন মমতা। তাতে মমতা অভিযোগ করেছেন বারবার কেন্দ্রকে চিিঠ লিখে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাছ্ছে না রাজ্য। মিলছে না পর্যাপ্ত অক্সিজেন পরিষেবা। এর আগে ২৪ ফেব্রুয়াির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা। তাতে তিনি কেন্দ্রের কাছে অনুমোদন চেয়েছিলেন রাজ্য নিজে ভ্যাকসিন কিনে রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে টিকাকরণ করাবেন। কিন্তু কেন্দ্র তাতে অনুমতি দেয়নি।