শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করল কমিশন, মোতায়েন হচ্ছে এক হাজার কোম্পানি ফোর্স
তৃতীয় দফার শুরু থেকেই অশান্তির ছবি দেখেছে বাংলা। বেলা যত বেড়েছে তত অশান্তির ছবি আরও স্পষ্ট হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু চতুর্থ দফার ভোট অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করাতে চায় নির্বাচন কমিশন।
তৃতীয় দফার শুরু থেকেই অশান্তির ছবি দেখেছে বাংলা। বেলা যত বেড়েছে তত অশান্তির ছবি আরও স্পষ্ট হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু চতুর্থ দফার ভোট অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করাতে চায় নির্বাচন কমিশন। আর সে লক্ষ্যেই কোমর বেঁধে নেমেছে নির্বাচন আধিকারিকরা। আগের থেকে শিক্ষা নিয়ে বাকি দফাগুলিতে আরও সতর্ক কমিশন।
মোতায়েন করা হচ্ছে আরও বাহিনী। থাকছেন স্পেশাল পুলিশ অফিসারও। কার্যত চতুর্থ দফায় শান্তিতে ভোট করানোই টার্গেট নির্বাচন কমিশনের।
নিয়োগ করা হল স্পেশাল অফিসার
নন্দীগ্রামের মতো এবার হাওড়াতে ভোটের আগে স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। আইপিএস অজিত সিং যাদবকে নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। হাওড়া কমিশনারেটে সং সমন্বয় রক্ষা করে কাজ করবে এই অফিসার। নন্দীগ্রামে ভোটের দিন এমন একজন অফিসার নিয়োগ করেছিল কমিশন। এবার হাওড়াতেও সেই সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। কোথাও কোনও অভিযোগ কিংবা বুথ জ্যাম, ছাপ্পার মতো অভিযোগ আসলেই ছুটে যাবেন অফিসার। খতিয়ে দেখবেন পরিস্থিতি। হাওড়াতে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর দায় থাকবে এই অফিসারের উপর।
চতুর্থ দফার ভোটে থাকছে ৭৯৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
শনিবার পাঁচ জেলায় ৪৪টি আসনে ভোট রয়েছে। একাধিক স্পর্শকাতর এলাকায় ভোট রয়েছে। আর সেদিকে তাকিয়েই কয়েকশ কোম্পানি বাহিনী নির্বাচন কমিশন মোতায়েন করতে চলেছে। বুথের প্রহারাতে থাকছে ৭৯৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় থাকছে ১০১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। হাওড়া কমিশনারেট এলাকায় থাকছে ১০৩ কোম্পানি, হাওড়া গ্রামীণে থাকছে ৩৭ কোম্পানি বাহিনী। এছাড়াও আলিপুরদুয়ারে ৯৯ কোম্পানি, জলপাইগুড়িতে ৬ কোম্পানি, ডায়মন্ড হারবারে ৩৯ কোম্পানি, বারুইপুরে ৪৫ কোম্পানি, চন্দননগরে ৮৪ কোম্পানি, হুগলি গ্রামীণে ৯১ কোম্পানি, ও কোচবিহারে ১৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। এছাড়াও থাকছে কয়েক হাজার রাজ্য পুলিশ। ইতিমধ্যে এক হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে বাংলায়। বাকি বাহিনীকে এরিয়া ডোমিনেশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে লাগানো হবে।
অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা
তৃতীয় দফায় কমিশনের কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একাধিক জায়গাতে অশান্তি, ঝামেলার খবর কমিশনকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় কড়া নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন গোলমাল হলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের। সেই সঙ্গে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে। যাতে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা যায়।
ইভিএম নিয়ে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ
উলুবেড়িয়াতে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে পাওয়া যায় ইভিএম। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। সে বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার জন্যে বলা হয়েছে। ভোট অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করতে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ওই ভিডিয়ো বৈঠকেই তিনি কড়া বার্তা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ইভিএম নিয়ে গাফিলতি হলেই শাস্তির মুখে পড়তে পারেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা। এমনটাই সূত্রে জানা গিয়েছে।
চতুর্থ দফার ভোট
শনিবার রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট। হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের মোট ৪৪টি কেন্দ্রে হবে ভোট গ্রহন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর দক্ষিণ, ভাঙড়, কসবা, যাদবপুর, সোনারপুর উত্তর, টালিগঞ্জ, বেহালা পূর্ব, বেহালা পশ্চিম, মহেশতলা, বজবজ, মেটিয়াবুরুজ এই কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট। এই সব কেন্দ্রগুলিই কলকাতা সংলগ্ন।