'মন ভালো লাগছে না...বাড়ি যেতে চাই', মমতার ইচ্ছেকে স্বীকৃতি দিয়ে বাড়ি ফেরায় ছাড় ডাক্তারদের
হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, হাসপাতালে আর থাকতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী! এমনকি ডাক্তারদের মন ভালো লাগছে না বলেও জানান তিনি। আর এরপরেই তাঁর ইচ্ছাকে মান্যতা দিতেই শু
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, হাসপাতালে আর থাকতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী! এমনকি ডাক্তারদের মন ভালো লাগছে না বলেও জানান তিনি। আর এরপরেই তাঁর ইচ্ছাকে মান্যতা দিতেই শুরু হয় ডাক্তারদের তোড়জোড়। তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন ডাক্তাররা। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ঘাড়, কাঁধ কবজির ব্যথা আর নেই। গোড়ালির ফোলা খানিকটা কমলেও ব্যাথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে
কি বলা হল মেডিক্যাল বুলেটিনে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়ার আগে মেডিক্যাল বুলেটিন দেওয়া হয়। তাতে বলা হয় যে, "হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বারবার তিনি ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। চিকিৎসায় তিনি সাড়া দিয়েছেন। মমতার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে বাড়ি ফিরে ওঁকে সব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। নিয়ম মেনে উনি চলাফেরা করতে পারবেন।" তবে ১৫ দিন পর ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাসপাতালে আসতে হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এদিন ডাক্তাররা জানান, ৪৮ ঘন্টা পর্যবেক্ষন প্রয়োজন ছিল। সেই সময় দিতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই দাবি।
নতুন করে ফের করা হয় প্লাস্টার
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিন প্লাস্টার কেটে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে ফোলা কমেছে। আজ নতুন করে মমতার পায়ে প্লাস্টার করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, বাড়িতে রেখেও ২-৩ দিন তাঁর চিকিৎসা করা যায়। বাড়িতে কীভাবে থাকতে হবে মমতাকে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পায়ে জোর দেওয়া যাবে না
তবে আগামি কয়েকদিন একেবারেই পায়ে জোর দেওয়া যাবে না। এমনটাই মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। এমনকি হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হবে বলে নেত্রীকে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। বিশেষ ধরনের চটি পরে হুইলচেয়ার ব্যবহার করা যাবে। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময়ে বিশেষ ধরণের চটি দেখা যায় মমতার পায়ে।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ছিল বাড়তি পুলিশ
নন্দীগ্রামে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপরেই প্রশ্নের মুখে পড়ে নেত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জেড প্লাসের মতো সুরক্ষা বলয় পাওয়ার পরেও কিভাবে ঘটল এই ঘটনা তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এই অবস্থায় আজ কোনও গাফলতি রাখতে চায়নি পুলিশ আধিকারিকরা। নেত্রীর বাড়ির গলি আটকে দেওয়া হয়। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকের পুলিশ পুরো ঘিরে রাখে গলির মোড়। এছাড়াও মমতার কনভয়তেও বাড়তি নিরাপত্তা রাখা হয়।