বুথের বাইরেই ধর্নায় বসে গেলেন আইএসএফ প্রার্থী! কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন?
একের পর এক অভিযোগ। অভিযোগ-অশান্তির নিরিখে গত দুদফাকেও হারিয়ে দিয়েছে। এত অশান্তির ছবি দেখা যায়নি প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে। প্রশ্নের মুখে কমিশনের ভূমিকা।
একের পর এক অভিযোগ। অভিযোগ-অশান্তির নিরিখে গত দুদফাকেও হারিয়ে দিয়েছে। এত অশান্তির ছবি দেখা যায়নি প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে। প্রশ্নের মুখে কমিশনের ভূমিকা।
এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে তৃতীয় দফাতে বাংলায় যে ছবি দেখা যাচ্ছে তাতে অনেকেই আতঙ্কিত! কারন এখনও সাত দফার নির্বাচন বাকি রয়েছে বাংলাতে। ফলে সেগুলিতে কি ঘটবে সেটা ভেবেই আতঙ্কিত অনেকেই।
আইএসএফ প্রার্থী মইদুল ইসলামকে ঢুকতে বাধা
ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই ছবিটা বদলাতে থাকে। একের পর এক জায়গা থেকে অভিযোগ আসতে থাকে। কোথাও প্রার্থীকে মারধর তো কোথাও আবার ভয় দেখানোর অভিযোগ। আর এই বিতর্কের মধ্যেই মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভায় নেতরা হাই মাদ্রাসা বুথে আইএসএফ প্রার্থী মইদুল ইসলামকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ কীভাবে তাঁকে আটকাতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইএসএফ প্রার্থী।
তৃণমূলের এজেন্ট ও পঞ্চায়েত প্রধানের মধ্যে বচসা
ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার কথা বলতে যান আইএসএফ প্রার্থী। আর সেই সময় তৃণমূলের এজেন্ট ও পঞ্চায়েত প্রধান ওদুদ গাজির মধ্যে তাঁর বচসা বাধে বলে অভিযোগ,। সেইসময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে পুলিশ আঙুল উঁচিয়ে তাঁকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ আইএসএফ প্রার্থীর। প্রতিবাদে বুথের বাইরে অবস্থান শুরু করে আইএসএফ প্রার্থীর।
পুরো ঘটনা এক নজরে
মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভায় আইএসএফ এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ওই বুথে পৌঁছে যান আইএসএফ প্রার্থী মইদুল ইসলাম। তিনি সাহস জোগান। এরপরেই এজেন্টকে বসান। এরপর ভোটারদের দিকে এগিয়ে যান তিনি। লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দিতে বলেন। এই ঘটনা ঘিরেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। এরপর অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিয়ে অন্য বুথে চলে যাওয়ার সেখানে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা গিয়াসুদ্দিন মোল্লা। এরপর আইএসএফ প্রার্থী সেই বুথে ফিরে এলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায়। গিয়াসুদ্দিন মোল্লার সঙ্গেও তাঁর বচসা বাধে বলে জানা গিয়েছে। এরপর সেখান থেকে চলে যান আইএসএফ প্রার্থী। গিয়াসুদ্দিন মোল্লার অভিযোগ, আইএসএফ প্রার্থী শান্তিপূর্ণ ভোটদানে বাধার সৃষ্টি করছেন। যদিও এখন শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হছে।
সন্ত্রাস নিয়ে সরব মমতা
এদিন মমতা বলেন, সকাল থেকে খবর আসছে বিজেপি হারছে। আর বিজেপি হারছে বলেই গুন্ডা গর্দি করছে। এদিনও মমতা নির্বাচন কমিশনের দিকে তোপ দেগে বলেন, সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কি কমিশন পদক্ষেপে নেবে সিআরপিএফ সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে? মমতার অভিযোগ, অরামবাগ ও খানাকুলের প্রার্থীর ওপর তারা হামলা করেছে বলে অভিযোগ মমতার।
ভোটে 'খুন' নিয়ে বক্তব্য
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, যেভাবে ভোটের মধ্যে পর পর খুন হয়েছে, তিনটে নির্বাতনে ৭ থেকে ৮ টা খুন হয়েছে । এঁদের মধ্যে তৃণমূলের ৪ জন খুন হয়েছেন। মমতার বক্তব্য 'কই পঞ্চায়েতও তো এত হয়নি।' এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে মমতা গর্জে ওঠেন।