আরও কড়া নির্বাচন কমিশন! জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ৩৯ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে এফআইআর
ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১৪ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এরপরেও কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার। কার্যত আজ শনিবারই ৫০০ জনেরও বেশী লোক নিয়ে মিটিং কর
ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১৪ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এরপরেও কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার। কার্যত আজ শনিবারই ৫০০ জনেরও বেশী লোক নিয়ে মিটিং করে বিতর্কে জড়িয়েছন মিঠুন চক্রবর্তী।
শুধু তিনিই নয়, তালিকাতে রয়েছেন দিলীপ ঘোষও। ইতিমধ্যে মিঠুন চক্রবর্তীর সভার জন্যে উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তবে তালিকাতে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন প্রার্থী
৩৯ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে এফআইআর
করোনা বিধি না পালন করার জেরে এ বার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হল। সূত্রের খবর, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোট ৩৯ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। যদিও তাঁদের নাম এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে তালিকায় তৃণমূল, বিজেপি ও মোর্চা, তিন দলের প্রার্থীরাই শামিল রয়েছে বলে খবর। কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, একাধিক রাজনৈতিক দলের সমাবেশে কোভিড বিধি মানা হয়নি। যে কারণে এ বারে সরাসরি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ২০০৫-এর ৫১বি ধারা অনুযায়ী এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনও অভিযোগ এলে আরও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন।
শোকজ করা হয়েছ বহুজনকে
কলকাতা হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। কাজে সন্তুষ্ট না হলে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরেই কার্যত আরও কড়া কমিশন। এফআরআরের পাশাপাশি মোট ৮৯ জন প্রার্থীকে শো-কজ করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিভিন্ন কেন্দ্রে রিটার্নিং অফিসার এবং জেলার নির্বাচনী আধিকারিকরা এই এফআইআর ও শোকজ করছেন বলে খবর। পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘ আট দফার ভোট চলাকালীন যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা অস্বস্তি বাড়িয়েছে কমিশনেরও। যে কারণে ইতিমধ্যেই বড় জমায়েতের ক্ষেত্রে রাশ টানা হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। আর সে কারনেই কড়া ব্যবস্থা কমিশনের।
মুখ্যসচিবের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক কমিশনের
বাংলায় করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১৪ হাজার মানূষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় শনিবার রাজ্যে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নির্বাচনি আধিকারিকরা। এই বৈঠকে ডিজি, এডিজি আইনশৃঙ্খলা-সহ শীর্ষ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। ভিডিয়ো বৈঠকে প্রশাসনকে আরও কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জেলাগুলিকে আরও শক্ত হাতে কোভিড বিধি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা আইন বলবৎ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ নিয়ম ভাঙলে তৎক্ষণাৎ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। প্রয়োজনে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে এফআইআর করার নির্দেশ কমিশনের।
নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই মিঠুনের সভা
বাংলাতে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। শুধু দৈণিক ১৩ হাজার করে মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় ভোট বাংলায় করোনা বিধি আরও কড়া করে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ৫০০ জনের বেশি লোককে নিয়ে সভা করা যাবে না। কিন্তু কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়েই আজ শনিবার সভা করেন মিঠুন চক্রবর্তী। মালদহের বৈষ্ণবনগরে এই সভা করা হয়। একেবারে সামনে থেকে সভায় বক্তব্য রাখেন মিঠুন। আর তাঁকে দেখতে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় জমান। সোশ্যাল ডিসটেস্ট তো ছিলই না সেখানে, এমনকি সভায় আসা কারোর মুখে মাস্কও ছিল না বলে অভিযোগ। এই ছবি, ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিতর্ক তৈরি হয়।
এফআইআর করার নির্দেশ
এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায়ে ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে নড়েচড়ে বসে কমিশন। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের তরফে কমিশনকে এই ভিডিও পাঠানো হয়। এরপরেই মালদহ নির্বাচনী আধিকারিককে বিষয়টি জানানো হয়। অভিযোগ জানানো হয় জেলা প্রশাসনকেও। অভিযোগ পাওয়ার পরেই উদ্যোক্তা বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ। উদ্যোক্তা অর্থাৎ বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে বিস্তারিত রিপোর্টও নির্বাচন কমিশন চেয়ে পাঠিয়েছে।