চিটফান্ড কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়! মানস ভুঁইয়াকে তলব করল সিবিআই
চিটফান্ড কাণ্ডে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ইতিমধ্যে সারদা-কাণ্ডে কুণাল ঘোষকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
চিটফান্ড কাণ্ডে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ইতিমধ্যে সারদা-কাণ্ডে কুণাল ঘোষকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এবার আইকোর মামলাতেও তদন্তের গতি বাড়াল তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আইকোর মামলার একেবারে সূত্রে পৌঁছানোর চেষ্টা তদন্তকারীদের। শুধু তাই নয়, চিটফাণ্ডের পিছনে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা তাও খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে।
চিটফান্ড কাণ্ডে মানস ভুঁইয়াকে তলব
সারদা-কাণ্ডের তদন্তে নেমে একাধিক প্রভাবশালীকে জেরা করেছে সিবিআই। এবার অন্যান্য চিটফান্ডেও তদন্তের গতি বাড়তে চায় সিবিআই। আর সেই কারনে আইকোর মামলার তদন্তে মানস ভুঁইয়াকে তলব করল সিবিআই। রাজ্যের একগুচ্ছ চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। যার মধ্যে রয়েছে আইকোর। একেবারে বেআইনিভাবে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে দেই সংস্থার বিরুদ্ধেও। এই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে বিদায়ী বিধায়কের বেশ কয়েকটি ভিডিও পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। যেখানে মানস ভুঁইয়াকে এই চিটফান্ড কাণ্ডের সপক্ষে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। আর সেই কারনেই মানস ভুঁইয়াকে জেরা করতে চায় সিবিআই। কেন চিটফান্ডের সপক্ষে কথা তিনি বলেছিলেন সে বিষয়ে জানতে চান তদন্তকারীরা। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে হাজিরার নির্দেশ
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি শাসকদলের
এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও কিছু মন্তব্য করতে চাননি মানস ভুঁইয়া। তবে শাসকদল তৃণমূলের দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে ভোটের আগে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আর ষড়যন্ত্র করেই প্রার্থীদের সিবিআই ডেকে হেনস্তা করছে। যাতে তাঁরা প্রচার করতে না পারে। এমনটাই দাবি শাসকদল তৃণমূলের। যদিও বিজেপির দাবি , সিবিআইকে কখনও প্রভাবিত করা হয় না। আইন আইনের পথে চলবে। যদি কেউ দোষী না হয় তাহলে জেরার মুখোমুখি হিতে ভয় কীসের।
বাংলার অন্যতম বড় চিটফান্ড ছিল আইকোর
সারদার পাশাপাশি একাধিক চিটফান্ড তৈরি হয় বাংলায়। যার মধ্যে অন্যতম ছিল আইকোর। স্বল্প বিনিয়োগে অনেক বেশি মুনাফা লাভের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে টাকা আদায় করত অনুকূল মাইতির সংস্থা। শুধু এ রাজ্যেই নয়, ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা থেকেও অর্থ সংগ্রহ করে ফুলেফেঁপে উঠেছিল সংস্থা। ২০১২ সালে অনেক চিটফান্ড সংস্থার আর্থিক তছরূপের বিষয় ফাঁস হয়ে যায়। সেই সময় গোয়েন্দারা তল্লাশি চালায় আইকোর সংস্থায়। ২০১৫ সালে অনুকূল মাইতি, তাঁর স্ত্রী এবং সংস্থার দুই ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ওডিশায় দায়ের হওয়া এক অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। ততদিন চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে চলে গিয়েছে। সেই থেকে এখনও চলছে আইকোর কাণ্ডের তদন্ত। এবার সেই ঘটনায় নাম জড়াল মানস ভুঁইঞার।
কুণাল ঘোষকে জেরা করে সিবিআই
সারদা-কাণ্ডেরও তদন্ত করছে সিবিআই। ভোটের মুখে সেই তদন্তেরও গতি বাড়িয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যে কুণাল ঘোষকে একাধিকবার জেরা করেছে তদন্তকারী সংস্থা। কিছু প্রশ্নের উত্তরে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। ফলে তাঁকে ফের একবার জেরা করা হতে পারে বলে খবর।