২০০টিরও বেশি আসনে বাংলায় জিতবে বিজেপি! হিরণের দাবি ঘিরে ট্রোল নেটিজেনদের
বাংলায় শেষ ভোট গ্রহণ পর্ব। নজর এখন ফলাফলের দিকে। যদিও অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে আসন কমলেও বাংলায় ফের ফিরছেন মমতাই। যদিও উল্লেখযোগ্যভাবে বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়ছে। যদিও দিলীপ ঘোষের দাবি, এক্সিট পোল নয়, আমরা এগজ্
বাংলায় শেষ ভোট গ্রহণ পর্ব। নজর এখন ফলাফলের দিকে। যদিও অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে আসন কমলেও বাংলায় ফের ফিরছেন মমতাই। যদিও উল্লেখযোগ্যভাবে বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়ছে। যদিও দিলীপ ঘোষের দাবি, এক্সিট পোল নয়, আমরা এগজ্যাক্ট পোলে বিশ্বাস করি। ২ তারিখই সব বোঝা যাবে।
পালটা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ভয় বা আশঙ্কার কিছু নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়েই বাংলায় ক্ষমতায় ফিরছে তৃণমূলই। আর এই বিতর্কের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর দাবি অভিনেতা হিরণের।
২০০টিরও বেশি আসনে বাংলায় জিতবে বিজেপি
বাংলার ক্ষমতায় কে? দিদি না মোদী! জোর বিতর্ক। সমীক্ষা বলছে ক্ষমতায় ফিরছেন মমতাই। আর তা দেখে অভিনেতা তথা বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ২০০টিরও বেশি আসনে বাংলায় জিতবে বিজেপি। বৃহস্পতিবারের সমীক্ষা দেখার পর নিজের ফেসবুকে হিরণ লেখেন, "২০১৯ লোকসভায় এক্সিট পোলস বলেছিল বিজেপি ৮ পাবে, পেয়েছিল ১৮, ২০২১ বিধানসভায় বলছে বিজেপি ১২১ অর্থাৎ বিজেপি ২০০ প্লাস।" অর্থাৎ বাংলায় বিজেপি যে সরকার গড়ছে তা কার্যত পরিষ্কার হিরণের কাছে। কিন্তু তাঁর এই পোস্টের পরেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। অনেকেই ট্রোল করতে শুরু করেছেন অভিনেতাকে।
অভিনেতার পোস্ট ঘিরে ট্রোল
হিরণের এই পোস্টের পরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই ট্রোল করতে শুরু করেছেন। অভিনেতার পোস্টকে কোট করে কেউ লিখেছেন, "জানো তো আমি ও নিজেকে অনেক সময় এই ভাবেই সান্ত্বনা দেই... যেমন ধরো আমি নিটের পরীক্ষা দিয়েছিলাম ডাক্তারিতে চান্স পাওয়ার জন্য কিন্তু পাইনি, কিন্তু আমি ভেবেছিলাম আমি পেয়ে গেছি...আর স্বপ্নে ডাক্তারিও পড়ছি।" কেউ আবার লিখেছেন, "আপনিও তো বারবার ছবির প্রমোশনে গিয়ে বলতেন,"এটা অন্যরকম ছবি...সুপারহিট হবেই...সুপারফ্লপ হত।" তবে হিরণের অভিনয় পছন্দ ছিল বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে অভিনেতা রাজনীতিতে আসায় কতটা কষ্ট পেয়েছেন তা জানাতেও ভোলেননি। এর মধ্যেই একজন আবার জানিয়েছেন, ফলাফল যাই হোক হিরণ জিতবেন না তা তিনি জানেন। সব মিলিয়ে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে হিরণের পোস্টে।
পাশে দাঁড়িয়েছে দিলীপ ঘোষ
দিনরাত এক দরে ভোটের জন্য ঝাঁপিয়ে এক্সিট পোলে মন ভাঙাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হাল ছাড়তে নারাজ। তাঁর দাবি এক্সিট পোলে একেকটা চ্যানেল একেকটা কথা বলছে। আসল হল এক্স্যাক্ট পোল। কে বসবে বাংলার মসনদে সেটা ২ মে পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপাতত সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষাতেই রয়েছেন তাঁরা। আপাতত এই সব এক্সিট পোল নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছেন না।
কাজ করতে বিজেপিতে যোগ দেন হিরণ
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন হিরণ। মানুষের জন্যে কাজ করতেই বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, তৃণমূল তাঁকে শুধু প্রচারের কাজে ব্যবহার করে, মানুষের কাজ করার সুযোগ তাঁকে দেওয়া হয়নি। বিজেপিতে গিয়ে মানুষের কাজ করতে চান তিনি। আর গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েই টিকিট পেয়ে যান টলিপাড়ার তারকা। তাও আবার খড়গপুর সদর কেন্দ্রে। দিলীপ ঘোষের শক্ত ঘাঁটি হিসাবেই পরিচিত সেটী। সেখানে এবার দিলীপ ঘোষেরই প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। কিতু তাঁকে প্রচারের কাজে লাগিয়ে হিরনের নাম ঘোষণা করা হয়। তাঁর আত্মবিশ্বাস এবার তিনি জিতবেন এই কেন্দ্র থেকে।