ভোট পর্বের শেষে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ বাগদায়
প্রায় শেষের মুখে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। ভোট গ্রহণ পর্ব শেষের মুখে এসে গুলি চালানোর অভিযোগ। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে এই গুলি চালানোর অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা।
সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা উত্তর ২৪ পরগণার একাধিক বিধানসভা কেন্দ্র। কোথায় এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ তো কোথায় তৃণমূল, বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল এলাকায়।
শুধু তাই নয়, দফায় দফায় মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়ল টিটাগড়, অশোকনগর,আমডাঙ্গা সহ একাধিক এলাজায়। দিনের শেষে গুলি চলল দেগঙ্গায়।
রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ
বাগদার ৩৫ নম্বর বুথে সকাল থেকেই অশান্তি চলছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বুথের বাইরে ভিড়-জমায়েত সরাতে পুলিশ যথেষ্টভাবে লাঠিচার্জ করছে বলে অভিযোগ। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে বলে খবর। এমনকি শেষবেলায় গুলি চালানোর অভিযোগ রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। গুলি লাগে দুজনের শরীরে।
পুলিশের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ বিজেপির
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ সকাল থেকেই রাজ্য পুলিশ বিভিন্নভাবে ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছিল। বিজেপির সমস্ত ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ বিজেপির। গ্রামবাসীরা এর প্রতিবাদ করায় লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, গুলি ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। এলাকার মানুষজন বলছেন, রাজ্য পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে তিনজন আহত হয়েছেন বলে খবর। অভিযোগ, শরীরে গুলি লেগে থাকলেও তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন পরিবার। অভিযোগ, রাস্তায় বের হলে যদি ফের মারধর করা হয়! সেজন্যেই নাকি বাড়িতে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
নিরপেক্ষ নয় পুলিশ
বাগদার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের অভিযোগ, ''পুলিশ আজ নিরপেক্ষ নয়। সকাল থেকেই শাসকের ভূমিকা নিয়েছেন। পুলিশ সকাল থেকে শাসকদলের পক্ষে ভোট করানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে তৃণমূলকে পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধছে। আমরা কমিশনে অভিযোগ জানাব।''
ঘটনা খতিয়ে দেখছে কমিশন
ইতিমধ্যে ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কি ঘটেছে, কেনই বা গুলি চালানো হয়েছে সে সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ঠিক কি ঘটেছিল তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। এরপরে কমিশনকে দেওয়া হবে রিপোর্ট।
গুলি চলার সঙ্গে যোগ নেই তৃণমূলের
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর। স্থানীয় তৃণমূলের দাবি, এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে বিজেপি। ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। এই বিষয়ে তৃণমূল প্রতিবাদ করে। তবে গুলি চালানো কিংবা ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের কোনও যোগ নেই বলেই খবর।