সমস্যা হবে সৌগত রায়দের! কটাক্ষ অধীরের, শাসনের ১২ টা বাজিয়েছেন মমতা, তোপ সুজনের
যদিও বিজেপির দাবি ছিল বাংলায় ১০ দফায় করা হোক বিধানসভা নির্বাচন। সেই দাবি খারিজ করে কমিশন আট দফায় নির্বাচন ঘোষণা করেছে। তাতে বাংলার মানুষের অপমান দেখছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
আট দফায় ভোট ঘোষণায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল। কিন্তু কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, ২০১১ সালের পর থেকে বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়নি।
পঞ্চায়েত ভোট হোক কিংবা উপ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও অশান্তি দেখেছে বাংলার মানুষ। সেখানে দাঁড়িয়ে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাটা কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও বিজেপির দাবি ছিল বাংলায় ১০ দফায় করা হোক বিধানসভা নির্বাচন। সেই দাবি খারিজ করে কমিশন আট দফায় নির্বাচন ঘোষণা করেছে। তাতে বাংলার মানুষের অপমান দেখছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
সমস্যা হবে সৌগত রায়দের!
আট দফায় ভোট ঘোষণায় খুশি বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট যাতে বাংলাউ হোক সেটা কমিশন দেখুক। কারণ বাংলার পুলিশ প্রশাসনকে তাঁদের ভরসা নেই বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, আট দফায় মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিতে পারবে। তবে সৌগত রায়ের মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, আট দফা ভোটে বাংলার মানুষের সমস্যা হবে না। সমস্যা হবে সৌগত রায়দের। কারণ বুথ জ্যাম, ভোট লুঠ করতে তৃণমূলের সমস্যা হবে এর ফলে কটাক্ষ অধীরের।
রাজনৈতিক দলগুলির অসুবিধা হবে
সৌগত রায় এদিন ভোট ঘোষণা হওয়ার পর বলেন, 'এভাবে ভোটারদের অসুবিধা হবে। রাজনৈতিক দলগুলির অসুবিধা হবে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বলেছিলেন যে আমাদের রাজ্যে যত সম্ভব কম দফাতেই ভোট হওয়া উচিত। তাও নির্বাচন কমিশন যদি তা মনে করে, তাহলে কিছু করার নেই। এখন ওদের কাছেই ক্ষমতা।' একই সঙ্গে এত দফায় ভোট ঘোষণার মানে বাংলার মানুষকে অপমান করা বলেও মনে করেন সৌগতবাবু। তবে ভোটে বাংলার মানুষ যোগ্য জবাব দেবে বলেই মনে করেন বর্ষীয়ান এই সাংসদ।
কটা দফা বড় কথা নয়!
কটা দফা বড় কথা নয়। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ। আর সেটাই করে দেখাক কমিশন। সেটাই চাই। এমনটাই বললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। কারন বাংলায় আইনের শাসন নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনের বাড়টা বাজিয়ে দিয়েছেন এই রাজ্যে। যেভাবে এই রাজ্য চলে এমনভাবে আর কোথাও হয় না বলে মন্তব্য সুজন চক্রবর্তীর। অন্যদিকে, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করতে গেলে আরও কড়া হতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এমনটাই মনে করেন সিপিএম নেতা সেলিম। তাঁর অভিযোগ, আট হোক কিংবা সাত হিংসা করার থাকলে তা সব দফাতেই হবে। সেলিমের মতে, আট দফায় ভোট হোক, আপত্তি নেই। কেবল সব দফায় যেন স্বচ্ছ ভাবে ভোটগ্রহণ হতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে। এমনটাই জানিয়েছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।
মোদী-শাহ কি ঠিক করে দিয়েছেন?
মমতা এদিন প্রশ্ন তোলেন, এক জেলায় কেন একাধিক দফায় ভোট করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? মোদী-শাহ কি ঠিক করে দিয়েছেন এই নির্ঘণ্ট? তিনি বলেন, যে জেলায় তৃণমূলের জোর বেশি সেখানে জেলাকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এক জেলায় ভোট করা হচ্ছে একাধিক দফায় ভেঙে। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, তামিলনাড়ু, কেরল, অসমে ৬ এপ্রিলের মধ্যে ভোট করিয়ে তারপর বাংলায় ২৩ দিন ধরে খেলার আয়োজন করা হয়েছে। যেভাবেই ভোট করুন না কেন, আমরাই জিতব। খেলা হোক ৮ দফায়, হারিয়ে ভূত করে ছাড়ব। আমি স্ট্রিট ফাইটার, আমিই জিতব। এভাবে আমাকে আটকানো যাবে না।