চুরমার হতে পারে সমস্ত রেকর্ড! প্রথম দফাতেই বাংলাতে আসতে পারে ৯৫৬ কোম্পানি বাহিনী
ভোট যত এগিয়ে আসছে তত চড়ছে উত্তেজনার পারদ! দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে নন্দীগ্রামে। অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতেও ছবিটা এক। বিভিন্ন জায়গাতেই অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ভোট যত এগিয়ে আসছে তত চড়ছে উত্তেজনার পারদ! দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে নন্দীগ্রামে। অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতেও ছবিটা এক। বিভিন্ন জায়গাতেই অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এই অবস্থায় সুষ্ঠ এবং অবাধ ভোট করানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। তবে ভোটে যাতে রক্ত না ঝড়ে সেদিকে বিশেষ নজর নির্বাচন কমিশনের। একাধিক পর্যবেক্ষক দফায় দফায় রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করছেন। সুষ্ঠ এবং অবাধ ভোট করাতে চেয়ে ঠিক কত বাহিনী প্রয়োজন তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
৯৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগতে পারে
ভোট ঘোষণার আগেই বাংলায় চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে এরিয়া ডোমিনেশনের কাজ চলছে। তবে বাহিনী আরও প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে পর্যবেক্ষকদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার জন্যই ৯৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানালেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। আট দফার জন্য এই পরিমাণ বাহিনী চাওয়া হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম দফাতেই এই বাহিনী চেয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। আট দফায় ভোটই রাজ্যের জন্য নজিরবিহীন। আর এই পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজিরও নেই রাজ্যে।
বাহিনী মোতায়েনের নকশা তৈরি
ইতিমধ্যে বাহিনীকে কীভাবে কাজে লাগানো হবে সেই নকশা তৈরি করে ফেলেছেন নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। এছাড়াও বাংলার কোন জেলায় কোথায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে তার একটা প্রাথমিক নকশা তৈরি করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম সহ জঙ্গলমহলে প্রতি বুথেই থাকবে এক সেকসন অর্থাৎ বাহিনীর আট জন করে বাহিনী থাকবে বলে খবর। গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় ক্যুইক রেসপন্স টিমের সংখ্যা এবার দ্বিগুন থাকবে বলে কমিশন সূত্রে খবর। পোস্টাল ব্যালটে ভোটের জন্য রাখা হচ্ছে ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ভোট শেষের পর রাজনৈতিক সংঘর্ষ মোকাবিলা করতে রাখা হবে ৫ কোম্পানি বাহিনী।
কোন বুথে কত বাহিনী থাকতে পারে
বুথ ভিত্তিক সংখ্যা বৃদ্ধি হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে। অর্থাৎ স্কুল বা যে কোনও ভবনে ১ থেকে ৩ টি বুথ থাকলে তার জন্য ৪ জন করে জওয়ান মোতায়েন থাকবে। ৪ থেকে ৮ টি বুথের জন্য থাকবে ৮ জন জওয়ান, ৯ থেকে ১৫ টি বুথের ক্ষেত্রে ১৬ জন জওয়ান রাখা হবে। এছাড়া পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক পাবেন এক কোম্পানি বাহিনী। সেক্টর অফিসার পাবেন হাফ সেকশন বাহিনী। এই পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলার ভোটের ইতিহাসে এক কথায় বেনজির।
নবান্নে জরুরি বৈঠক
উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলা। ক্রমশ চড়ছে ভোটের পারদ। কত কয়েকদিন আগেই নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঘাত লাগার ঘটনার পরে প্রশ্নের মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। এরপরেই রাজ্য প্রশাসনকে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনওরকম ফাঁক রাখা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, আজ বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। সেখানে বাহিনী মোতায়েন সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা যাচ্ছে।