১০৮টি গণনা কেন্দ্রের নিরাপত্তায় থাকবে ২৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, একনজরে কোন কেন্দ্রের গণনা কোথায় হবে
হাতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। কাউন্টডাউন শুরু...! আর কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যাবে কে বসতে চলেছে বাংলার মসনদে। দিদি না দাদা কার হাতে যাচ্ছে বাংলার রাশ। সবক্ষেত্রেই চাপা টেনশন।
হাতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। কাউন্টডাউন শুরু...! আর কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যাবে কে বসতে চলেছে বাংলার মসনদে। দিদি না দাদা কার হাতে যাচ্ছে বাংলার রাশ। সবক্ষেত্রেই চাপা টেনশন।
তবে কমিশনের কাছে এই বড় চ্যালেঞ্জ গণনাকেন্দ্রে কোভিড বিধি নিশ্চিত করা। পাশাপাশি নিরাপত্তা বলয়ও অটুট রাখতে হবে। দু'টি বিষয়কেই এবার প্রাধান্য দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
রবিবার রাজ্যের ২৩ জেলার ২৯২টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা রয়েছে। এ বার মোট গণনাকেন্দ্র করা হয়েছে ১০৮টি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যা ছিল ৯০টি।
মূলত কোভিডের কারণেই অন্য বারের তুলনায় গণনাকেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। সেই মতোই বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্র।
একটি গণনা কেন্দ্রে এক বা তার অধিক বিধানসভা আসনের ভোট গণনা হতে পারে। রবিবার কলকাতার ১১ আসনের ভোটগণনার জন্য গণনাকেন্দ্র ৬টি। এর মধ্যে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চৌরঙ্গি, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো ও শ্যামপুকুর আসনের গণনা হবে।
কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, রাসবিহারী ও বালিগঞ্জ- প্রত্যেকটি আসনের জন্য আলাদা আলাদা করে গণনাকেন্দ্র করা হয়েছে। আবার মানিকতলা ও কাশিপুর-বেলগাছিয়ার ভোটগণনা হবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
অন্যদিকে আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবর জানাচ্ছে, জলপাইগুড়ির ৭ আসনের জন্য ২টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১ আসনের জন্য ১৪টি, হাওড়ার ১৬ আসনের জন্য ১২টি, হুগলির ১৮ আসনের জন্য ৭টি, পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬ আসনের জন্য ৫টি,
পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৫ আসনের জন্য ৪টি, পূর্ব বর্ধমানের ১৬ আসনের জন্য ১১টি, পশ্চিম বর্ধমানের ৯ আসনের জন্য ২টি, পুরুলিয়ার ৯টি আসনের জন্য ৩টি গণনাকেন্দ্র করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের জন্য যেমন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়, তেমনই ভোট গণনার জন্যও থাকে কড়া নিরাপত্তা।
প্রকাশিত খবর বলছে, এবার ১০৮টি গণনাকেন্দ্রের জন্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন। শুধু তাই নয়, গণনাকেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় থাকবে।
ত্রিস্তরীয় বলয়ের একেবারে বাইরে থাকবে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী, র্যাফ ও কম্যান্ডো ও কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা। এদের কাজ হল গণনাকেন্দ্রের বাইরে জমায়েত বা অশান্তি হলে তা ঠেকানো। মাঝের বলয়ে থাকবেন পুলিশের ডিসি পদমর্যাদার উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী।
একেবারে শেষ বা তৃতীয় বলয় যেখানে গণনা কক্ষ ও স্ট্রং রুম রয়েছে সেখানে থাকবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশনের অনুমতিপত্র ছাড়া সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি রাজ্য পুলিশও নয়।
গণনা কক্ষ বা কাউন্টিং হলে শুধুমাত্র প্রবেশ করতে পারবেন রিটার্নিং অফিসার, গণনা পর্যবেক্ষক, গণনা সহকর্মী, মাইক্রো অবজার্ভার, কাউন্টিং এজেন্ট, সংশ্লিষ্ট আসনের প্রার্থী ও এজেন্টরা।
এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য গণনাকেন্দ্রের মধ্যে সিসিটিভি-তে নজরদারি চালাবে কমিশন। অশান্তি এড়াতে গণনাকেন্দ্রের ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে থাকবে ১৪৪ ধারা।
অন্য বার একটি কক্ষে গণনার জন্য সাধারণত ১৪টি টেবিল রাখা হত। এ বার সেখানে দূরত্ব-বিধি বজায় রাখার জন্য ৭টি টেবিল রাখা হবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
অন্যদিকে, করোনা বিধি কড়া ভাবে মানা হবে। দিনের শুরুতেই জীবাণুমুক্ত করা হবে। এছাড়া প্রার্থী এজেন্টের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হতে হবে। মাস্ক বাধ্যতামূলক। এমনই কিছু নিয়ম কমিশনের তরফে জারি করা হয়েছে।