গুলিবিদ্ধ আরও এক ছাত্রের মৃত্যু, ইসলামপুরে বিজেপির বনধ ঘিরে উত্তেজনা চরমে
ইসলামপুরের দাঁড়িভিট হাইস্কুলে ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু হল আরও এক ছাত্রের। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল রাজেশ সরকার নামে এক প্রাক্তনীর। এবার হাসপাতালে মৃত্যু হল তাপস বর্মন নামে আর এক ছাত্রের।
ইসলামপুরের দাঁড়িভিট হাইস্কুলে ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু হল আরও এক ছাত্রের। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল রাজেশ সরকার নামে এক প্রাক্তনীর। এবার হাসপাতালে মৃত্যু হল তাপস বর্মন নামে আর এক ছাত্রের। পুলিশের গুলিতই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। ইসলামপুরের এই হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবারের বনধ হয়ে উঠল আরও উত্তেজনাপ্রবণ।
ইসলামপুরের এই হাইস্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। ছাত্র আন্দোলনে রণক্ষেত্র ইসলামপুরে গুলি চলে। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ গুলি চালিয়েছে। সেই গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে দুই ছাত্রের। পুলিশ গুলি চালানোর ঘটনা অস্বীকার করে। বিজেপি এই ঘটনায় ১২ ঘণ্টার উত্তর দিনাজপুর জেলা বনধের ডাক দেয়।
এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে বনধ সমর্থক ১০ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। তারপর নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপির জেলা সভাপতির সঙ্গে পুলিশের বাকযুদ্ধ শুরু হয়। বিজেপি জেলা সভাপতি পুলিশকে প্রশ্ন করেন, বিজেপির ১০ কর্মীকে কেন গ্রেফতার করলেন। এর ফলে তো উত্তেজনা আরও বাড়বে।
এদিন সকাল থেকে বনধ শুরু হয়েছে। রায়গঞ্জ-সহ বিভিন্ন এলাকায় বনধরে মিশ্র প্রভাব পড়েছে। বনধ উপেক্ষা করে বাস চলাচল করায় বাসে ভাঙচুর করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এদিন উত্তর দিনাজপুরের রাস্তাঘাটে অন্য দিনের তুলনায় কম বাস দেখা যায়। রাস্তাঘাট প্রায় শুনশান ছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরজুড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ব্যাপকমাত্রায়। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে পাঁচটি বামপন্থী সংগঠন।
[আরও পড়ুন:মমতার পুলিশেরও নাম জড়াল ছাত্র খুনে, ইসলামপুরের এক সাধারণ ঘটনায় বেনজির হিংসা]