বছরের শুরুতেই কর্মহীন ২৩০০, মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের মুখে বন্ধ ২ চা-বাগান
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগেই বন্ধ হয়ে গেল দুটি চা-বাগান। বন্ধ মালবাজারের সাইলি চা-বাগান এবং নাগরাকাটার হিলা চা-বাগান। কর্মহীন হয়েছেন কমপক্ষে ২৩০০ শ্রমিক।
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগেই বন্ধ হয়ে গেল দুটি চা-বাগান। বন্ধ মালবাজারের সাইলি চা-বাগান এবং নাগরাকাটার হিলা চা-বাগান। কর্মহীন হয়েছেন কমপক্ষে ২৩০০ শ্রমিক।
সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ দুটি চা-বাগানে। বন্ধ হয়ে গেল মালবাজারের সাইলি চা-বাগান এবং নাগরাকাটা ব্লকের হিলা চা-বাগান। কর্ম সংস্কৃতির অভাবের অভিযোগে রবিবারে বন্ধ করে দেওয়া হয় সাইলি চা-বাগানে। এখানে কর্মহীন হয়েছেন প্রায় ১৫০০ শ্রমিক। অন্যদিকে, শ্রমিক অসন্তোষের কারণ জানিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হিলা চা-বাগান। সেখানে কর্মহীন হয়েছেন প্রায় ৮০০ শ্রমিক।
সোমবার সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে বাগানের গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দেখতে পান শ্রমিকরা। বাগানের গেটেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। রবিবার রাতেই মাল থানায় নোটিসের কপি জমা দিয়েছিল বাগান কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের অভিযোগ, বাগান বন্ধ করে পালিয়ে গিয়েছেন ম্যানেজার। প্রতি বছরই পুজোর পর কর্ম সংস্কৃতি অভাব দেখিয়েই বাগান বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এই সময় চা গাছের কাটিং হয়।
এর আগে ২০১৫-র ২০ ডিসেম্বর বন্ধ হয়েছিল মালবাজারের সাইলি চা-বাগান। সেবারেও মালিকপক্ষ সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দিয়েছিল। ২০১৬ সালে ৪২ দিন বন্ধ ছিল চা-বাগান। সোমবার সকালে সাইলি চা-বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন, মালমাজারের তৃণমূল বিধায়ক বুলুচিক বড়াইক। মালিকপক্ষ ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।