ফের সিদ্ধার্থ সিংকে 'কুলাঙ্গার' বলে কটাক্ষ কল্যাণের
কলকাতা, ২১ ডিসেম্বর : ভবি ভোলবার নয়। কয়েকদিন আগেই অশালীন শব্দ প্রয়োগের জন্য সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আখেরে লাভ হয়নি কিছুই। সেই অশালীন ভাষাকে ফের হাতিয়ার করে কটা দাগলেন সিদ্ধার্থ নাথ সিংকেই। একইসঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, সেদিন সংসদে ক্ষমা অনিচ্ছাকৃতভাবেই চেয়েছিলেন তিনি।
শনিবার হুগলির মশাট বাজারে দলীয় সমর্থকদের সামনে বক্তৃতা দিতে উঠে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধার্থ সিংকে 'কুলাঙ্গার' বলে আক্রমণ করেন। সেটা অবশ্য কলকাতার প্রকাশ্য সমাবেশে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'ভাগ মমতা ভাগ' বলারই প্রতিক্রিয়ামাত্র বলে ব্যাখ্যা করেছেন কল্যাণ।
এদিন মশাটে কল্যাণ বলেন, "হেলিকপ্টারে চড়ে এসে এ রাজ্যে রাজত্ব করা যাবে না। বাংলায় থাকতে হলে স্যুট, বুট, টুপি পরলেই হবে না। বাংলার মানুষের পাশে লড়াইয়ে থাকতে হবে। লালাবাহাদুর শাস্ত্রীকে দেশের ১২৫ কোটি মানুষ শ্রদ্ধা করেন। প্রত্যেক বংশেই অনেক সময় এক এক জন কুলাঙ্গার জন্মায়। সিদ্ধার্থ সে রকমই এক জন।"
চলতি মাসেই এই সিদ্ধার্থ সিং প্রসঙ্গে আপত্তিকর মন্তব্য করায় কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কল্যাণবাবু। অপশব্দ প্রয়োগ নিয়ে অবশ্য একরদ্দি দুঃখিত নন তিনি। অন্যদিকে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চান কল্যাণ। কিন্তু তার অঙ্গভঙ্গি স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছিল এই ক্ষমাপ্রার্থনা শুধুই নিয়মরক্ষার।