ছাত্র কাউন্সিল গঠন নিয়ে ফের উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্র কাউন্সিল বাতিল করে ছাত্র সংসদ ফেরানোর দাবিতে ফের ছাত্র বিক্ষোভ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাতে ছাত্রদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হলেও এখনও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র।
ছাত্র কাউন্সিল বাতিল করে ছাত্র সংসদ ফেরানোর দাবিতে ফের ছাত্র বিক্ষোভ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাতে ছাত্রদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হলেও এখনও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ ফেরানোর দাবিতে ফের আন্দোলনে যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা। সোমবার বিকেল ৪ থেকে শুরু হয়েছে ঘেরাও অবস্থান কর্মসূচি। বিকেল ৪ টেয় শুরু হয় কর্মসমিতির বৈঠক। সেই সময় ছাত্ররা দাবি করে ছাত্র সংসদ ফেরাতে হবে। ঘেরাও হয়ে রয়েছেন উপাচার্য, সহ উপাচার্য। সোমবার ছাত্র সংগঠনগুলির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকেও বসেন সহ-উপাচার্য-সহ অন্যরা। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি।
উপাচার্য
সুরঞ্জন
দাস
জানান,
এই
বিষয়ে
আইন
করেছে
সরকার।
তাই
আইনের
পরিবর্তন
সরকারের
সঙ্গে
আলোচনা
করেই
সম্ভব।
প্রতিনিধিদল
গড়ে
সরকারের
কাছে
পাঠানোর
প্রস্তাব
দিয়েছেন
উপাচার্য।
সহ-উপাচার্য
জানিয়েছেন,
ছাত্রদের
দাবি
শুনেছি।
তিনি
জানান,
বিশ্ববিদ্যালয়ের
তরফে
তাঁদের
করণীয়
কিছুই
নেই।
কেননা
বিষয়টি
নিয়ে
বিজ্ঞপ্তি
জারি
করেছিল
সরকার।
রাত
১২টার
সময়
ছাত্রদের
কাছে
প্রস্তাব
দেওয়া
হয়
আলোচনা
আরও
বিস্তৃত
হওয়া
দরকার।
সবাই
মিলে
বিস্তৃত
রূপরেখা
তৈরি
করার
আবেদন
জানানো
হয়।
এদিকে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, এর আগে কমিটি নিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে কমিটি গঠন নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। কেউ চাইলে তাঁদের অবস্থানকে কেউ মাড়াতেই পারেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটি ইউনিয়ন একসঙ্গে দাবি করেছে ছাত্র সংসদ ফেরানোর। আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন, গত বছরের অগাস্টেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। সেই সময়ও আলোচনা হয়েছিল। সরকার তথা শিক্ষামন্ত্রীকেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। এটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা বলে জানিয়েছে তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার বিকৃত করার ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। বিষয়টিকে বৃহত্তর ছাত্র কিংবা শিক্ষক সমাজ সমর্থন করেন না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।