তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত নানুর
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত নানুর। সোমবার রাতে নানুনের চণ্ডীপুর গ্রামে চলে দুপক্ষের বোমা-গুলির লড়াই। মূলত এলাকা দখলকে ঘিরেই এই সংঘর্ষ। ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত নানুর। সোমবার রাতে নানুনের চণ্ডীপুর গ্রামে চলে দুপক্ষের বোমা-গুলির লড়াই। মূলত এলাকা দখলকে ঘিরেই এই সংঘর্ষ।
এখনও পর্যন্ত কারও মৃত বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া না গেলেও, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এলাকায় দুই দুষ্কৃতী দলের সংঘর্ষ হয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
২০০০ সালের ২৭ জুলাই নানুরে ১১ জন ভূমিহীন ক্ষেতমজুরে খুনের ঘটনার পর থেকেই রাজ্য তথা দেশের রাজনৈতিক সংঘর্ষের তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম নানুর। বাম আমলে একাধিকবার শাসক বিরোধী সংঘর্ষ হয়েছে। তবে রাজ্যে পালা বদলের পর বদলে যায় সংঘর্ষ ধরনও। শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বিভিন্ন সময়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়ভাবে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাবার চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। উদ্যোগী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও।
চলতি বছরের ২২মে মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরে প্রশাসনিক সভার মাঝে কেতুগ্রামের বিধায়ক ও নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখের দাদা শেখ শাহনওয়াজকে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। একইভাবে অপরপক্ষ নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরাকেও সর্তক করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্য়মন্ত্রীর সেই বার্তা যে এলাকা দখলের রাজনীতিতে কোনও কাজ করেনি তা আরও একবার প্রমাণিত হল চণ্ডীপুরের সংঘর্ষের ঘটনায়।