পুলিশের রুটমার্চের পরই ফের উত্তপ্ত ভাঙড়, মাছিডাঙায় রাস্তা কাটলেন গ্রামবাসীরা
আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। আটদিন পর ভাঙড় অবরোধ মুক্ত হলেও, বুধবার ফের সেই অবরোধ-লাইনে ফিরলেন গ্রামবাসীরা। এদিন মাছিডাঙায় রাস্তা কেটে দিলেন গ্রামবাসীরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৫ জানুয়ারি : আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। আটদিন পর ভাঙড় অবরোধ মুক্ত হলেও, বুধবার ফের সেই অবরোধ-লাইনে ফিরলেন গ্রামবাসীরা। এদিন মাছিডাঙায় রাস্তা কেটে দিলেন গ্রামবাসীরা। ফলে ভাঙড়ের ছবির আদতে কোনও পরিবর্তন ঘটল না ন'দিন পরেও।[কেন ভাঙড়ে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী?]
ভাঙড় অবরোধ মুক্ত হওয়ার পর পুলিশ রুটমার্চ করে। আর সেই রুটমার্চের পরই ফের ভাঙড় পুরনো আন্দোলনের পথেই ফেরে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গ্রাম। গ্রামবাসীরা মিলিত হয়ে মাছিডাঙায় রাস্তা কেটে অবরোধ শুরু করে। গ্রামবাসীদের একটাই কথা, পুলিশকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না গ্রামে।[ভাঙড়ে যে গুজবের কারণে পাওয়ার গ্রিডের জমি নিয়ে আন্দোলনে গ্রামবাসীরা]
শাসকদল তৃণমূলের পক্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিরোধীপক্ষ অশান্তি জিইয়ে রাখতে মদত দিচ্ছে। অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চলছে ভাঙড়ে। পাল্টা অভিযোগ করেছেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, বিরোধীদের দায়ী করে মুখ ঘুরিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। এসবের জন্য দায়ী তৃণমূলের অসহিষ্ণুতা। বামেদের সুরেই তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি।[জোর করে জমি অধিগ্রহণ নয়, প্রয়োজনে পাওয়ার গ্রিড সরানো হবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
ভাঙড় আছে ভাঙড়েই। ন'দিন কেটে গেলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি ভাঙড়। হাড়োয়া রোডের বহু জায়গা থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও, শান্তি মিছিল হলেও, শান্তির দেখা নেই। মিটিং করেছেন নকশালপন্থী নেতরাও। মঙ্গলবার রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের নেতৃত্বে মাছিডাঙা, বকডোবা ও নতুনহাট এলাকায় মিছিল করে তৃণমূল। রাস্তা আটকে গাছের গুঁড়ি সরিয়েই এই মিছিল হয়। তৃণমূল মিছিল করলেও, পুলিশকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি গ্রামে।[পুলিশের পোশাকে গুলি চালিয়েছে বহিরাগত দুষ্কৃতীরাই! উদ্ধার পুলিশের উর্দি]