৩ দিন পরেও নিখোঁজ ১০ মৎস্যজীবী! পরিবারের সদস্যদের বিক্ষোভ
তিনদিন কেটে গেলেও এখনও খোঁজ মিলল না কাকদ্বীপের দশ মৎস্যজীবীর। রবিবার কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের সংগঠনের অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা।
তিনদিন কেটে গেলেও এখনও খোঁজ মিলল না কাকদ্বীপের দশ মৎস্যজীবীর। রবিবার কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের সংগঠনের অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা। এদিকে, নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খুঁজে বের করতে কাকদ্বীপের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার নেতৃত্বে প্রশাসনিক পর্যায়ে বৈঠক হয়।
আবহাওয়া দফতরের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে বিপাকে ১০ মৎস্যজীবী। বুধবার থেকে তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়া ট্রলারটির নাম এমভি কন্যামাতা। বুধবার বঙ্গোপসাগরের কেঁদোদ্বীপের কাছে ট্রলারটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। সেই সময় ট্রলারটিতে ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ট্রলার দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই আশপাশ থেকে ২০ টি ট্রলার মৎস্যজীবীদের উদ্ধারে হাত লাগায়। সেই সময় ৬ জনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
সাধারণত মে-জুন মাছের প্রজননের সময়। তাই প্রশাসনের তরফ থেকে সুন্দরবনের নদী, খাঁড়িতে মাছ ধরার ব্যাপারে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা এবং আবহাওয়ার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দিন পাঁচেক আগে কাকদ্বীপের মৎস্যবন্দর থেকে এমভি কন্যামাতা নামের ট্রলারটি রওনা হয়েছিল।
বুধবার গভীর সমুদ্রের উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রলারটি। কিন্তু প্রবল জলোচ্ছ্বাস আর ঝোড়ো হাওয়ায় ট্রলারটি উল্টে যায় বলে জানা গিয়েছে। ট্রলার দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া সঙ্গে সঙ্গে আশপাশে থাকা আরও কয়েকটি ট্রলার সেখানে য়ায়। ছয়জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, বাকি ১০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।