শ্রীভূমির বুর্জা খালিফা প্য়ান্ডেলে লেজারের পর বন্ধ আলো! নেপথ্যে কোন কারণ
কার্যত উপচে পড়ছে ভিড়। করোনা পরিস্থিতিতে কোনও বাধা, বিধি না মেনেই কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিং এর পুজোয় ভিড় জমাতে থাকছেন। আর এই ভিড়ের চাপে বন্ধ হয়ে গেল কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিং এর বুর্জ খালিফা প্যান্ডেলের আলো। সপ্তমীর রাতে এর আগেই বন্ধ হয়েছে লেজার শো। আর অষ্টমীতে বন্ধ করা হল আলো। কারণ কিছুতেই উদ্যোক্তারা সামলাতে পারছেন না উৎসাহী জনতার ভিড়ের চাপ।
২০২১ এ করোনা আবহে কার্যত বাঁধভাঙা আনন্দের মেজাজে পুজো ফিভার চড়িয়ে ফেলেছে বাঙালি। বহু প্যান্ডেলেই করোনা বিধি শিকেয় তুলে মাস্ক খুলে সেলফি তোলার ভিড় অনেককেই আতঙ্কে রেখেছে। সোশ্যাল ডিসটেন্সিং এর মতো বিষয় কার্যত উধাও ! এই পরিস্থিতিতে কলকাতার শ্রীভূমির বুর্জ খালিফা দেখার ভিড় নজর কাড়ছে অনেকের। এদিকে তাক লাগানো মণ্ডপ সজ্জায় শ্রীভূমি এবার অনেকের নজর কেড়েছে। অসামান্য সৃষ্টিশীলতা ও আলোর কাজে মুগ্ধ হয়েছেন মানুষ। তবে, এর আগে, দমদম বিমানবন্দরে বিমান অবতরণে সমস্যার ডেরে শ্রীভূমির প্যান্ডেল নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন পাইলটরা। তারপরই সপ্তমী থেকে বন্ধ হয়ে যায় শ্রীভূমির লেজার শো। তারপর অষ্টমীর দিন ভিড়ের চাপ কমাতে শ্রীভূমির এই প্যান্ডেলে তাক লাগানো আলোর ঝলকানি বন্ধ করে দেওয়া হল। উপচে পড়া ভিড়ের জেরে বহু বাস, গাড়ি লেকটাউন ছুঁয়ে যাচ্ছে। ফলে কলকাতার ট্রাফিক ব্যাপক পরিমাণে বিঘ্নিত হচ্ছে। বেসরকারি বাস গুলিতে লেখাও থাকছে 'বুর্জ খালিফা যাইবে'। ফলে বিপাকে পড়েছে কলকাতার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম। বাসগুলির বার্তা অন্য রুটে সেভাবে যাত্রী না হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে ওই রুট নিতে হচ্ছে।
এদিকে, এই উপচে পড়া ভিড় যাতে পরবর্তীকালে করোনার কারণ না হয়ে দাঁড়ায় , তার জন্য অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এদিকে, কলকাতায় রাতে যাতে ঠাকুর দেখা যায়, তার জন্য করোনা পরিস্থিতিতে বহু বিধি কমিয়ে ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সেই সমস্ত বিধির মধ্যে নূন্যতম মাস্ক পরার বিধি টুকুও অনেকেই পালন না করে মণ্ডপে ভিড় করছেন। ফলে পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগের জায়গায় চলে যাচ্ছে। আর এই কারণেই গোটা কলকাতার ভিড়ের একটা বড় অংশের রাশ টানতে শ্রীভূমি স্পোর্টিং এদিন বন্ধ করে দিল বুর্জ খালিফা প্যান্ডেলের আলোর ঝলকানি। ফলে মণ্ডপ খানিকটা জৌলুস হারালো। তবে তারপরও উৎসবমুখী জনতা নিজেদের রুখতে পারবে কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।