সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই 'সুর' বদল! এক দেশ এক রেশন কার্ড নিয়ে সমস্যা নেই, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্যে এক দেশ এক রেশন কার্ড (one nation one ration card) চালু করতে অসুবিধা নেই। এর প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। এদিন এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। প্রসঙ্গত দিন দুয়েক আ
রাজ্যে এক দেশ এক রেশন কার্ড (one nation one ration card) চালু করতে অসুবিধা নেই। এর প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। এদিন এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। প্রসঙ্গত দিন দুয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে দ্রুত এই প্রকল্প চালুর নির্দেশ দেয়।
প্রকল্প চালুতে সমস্যা নেই
এদিন নবান্নে করা সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে একদেশ এক রেশন কার্ড চালুতে কোনও সমস্যা নেই। ইতিমধ্যেই যার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছু আধার কার্ড ভেরিফিকেশন বাকি আছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্যে অই প্রকল্প চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই দেশের ৩২ টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে লাগু হয়ে গিয়েছে।
এক দেশ এক রেশন কার্ডের সুবিধা
এই প্রকল্পের সুবিধা হল কলকাতার কোনও বাসিন্দা মুম্বইতে গিয়েও তাঁর সুবিধা মতো রেশন দোকান থেকে রেশন তুলতে পারবেন। খাদ্য সুরক্ষা আইনেই এর সংস্থান রয়েছে। ফলে কলকাতার ওই ব্যক্তিকে মুম্বই গিয়ে নতুন করে কোনও রেশন কার্ড তৈরি করাতে ছুটোছুটি করতে হবে না।
শুক্রবার রাজ্য সরকারকে নির্দেশ সর্বোচ্চ আদালতের
শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি নিয়ে শুনানি ছিল। সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে এই প্রকল্প চালুর নির্দেশ দেয়। এর প্রধান কারণ হল সুবিধাভোগী, বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকরা অন্য জায়গায় গিয়েও ভর্তুকি যুক্ত চাল-গম পেতে পারবেন। ওইদিন রাজ্য সরকারের আইনজীবী রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তি সমস্যার বিষয়টি নিয়ে বললে, সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয় এব্যাপারে কোনও আপত্তি শোনা হবে না। রাজ্য সরকারকে খুব তাড়াতাড়ি এই প্রকল্পের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
নীতিগত কারণই ছিল বাধা
কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্রের দাবি, শুধুমাত্র নীতিগত সিদ্ধান্তের কারণেই পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কাজটি আটকে ছিল। অথচ রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তি করণ এবং বায়োমেট্রিকের মাধমে চিহ্নিত করার কাজ অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিল রাজ্য। কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী রাজ্যের প্রায় সব রেশন দোকানেই পিওএস বসে গিয়েছে। পাশাপাশি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ডের সংযুক্তিও হয়ে গিয়েছে।
সংসদে আপত্তি করেছিল তৃণমূল
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পরে প্রথম শীতকালীন অধিবেশনে এক দেশ এক রেশন কার্ডকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে লোকসভা ও রাজ্যসভায় সরব হয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, মানস ভুঁইঞারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল রেশন ব্যবস্থা তুলে দিতেই এই পরিকল্পনা করেছে মোদী সরকার। অভিন্ন রেশন কার্ড চালু হলে বাংলার মানুষ সব থেকে বেশি অসুবিধায় পড়বেন বলেও দাবি করেছিলেন তাঁরা। রাজ্যে প্রায় ছয় ধরনের রেশন কার্ড রয়েছে। ফলে রাজ্যে যদি অভিন্ন রেশন কার্ড চালু হয় তাহলে গ্রাহকরা রেশন নিতে গিয়ে অসুবিধায় পড়বেন বলেই অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল।
প্রকল্পের নথি জমা দিতে নির্দেশ
শুনানির
সময়ে
সলিসিটর
জেনারেল
তুষার
মেহতা
কেন্দ্রের
তরফে
শুনানি
করতে
গিয়ে
বলেন,
পশ্চিমবঙ্গ
ছাড়াও
দিল্লি,
ছত্তিশগড়,
অসম
এক
দেশ
এক
রেশন
কার্ড
প্রকল্প
লাগু
করেনি।
সেখানে
উপস্থিত
দিল্লির
আইনজীবী
দাবি
করেন,
সেখানে
এই
প্রকল্প
লাগু
হয়ে
গিয়েছে।
সুপ্রিম
কোর্টের
অবসরকালীন
বেঞ্চের
বিচারপতিদ্বয়
অশোকভূষণ
এবং
এমআর
শাহ
সব
রাজ্য
সরকারকে
প্রকল্প
লাগুর
নথি
জমা
দিতে
বলেন।
এছাড়াও
পরিযায়ী
শ্রমিকদের
শুকনো
রেশন
দেওয়ার
জন্য
অন্য
কোনও
প্রকল্প
থাকে,
তার
নথিও
জমা
দিতে
বলেন।
বিজেপিতে যাওয়া দুই সাংসদের সদস্যপদ খারিজের দাবি, ফের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের