আগের মতোই ভিড় লোকাল ট্রেনে! আরও ট্রেনের দাবিতে সরব যাত্রীরা
নিউ নর্মালে সাতমাস পরে লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে, এদিন সকাল থেকে। যাত্রীরা (passenger) খুশি ট্রেন চালু শুরু হওয়ায়। তবে তাঁরা ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানোর দাবি তুলেছেন। অনেকেরই দাবি অফিস টাইমে পূর্ণ সংখ্যায় ট্রেন (train) চালাতে হবে।

স্টেশনে স্টেশনে লম্বা লাইন
এদিন সকালে ট্রেন চালু শুরু হওয়ার পর থেকেই স্টেশনে স্টেশনে লম্বা লাইন চোখে পড়েছে। লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে শিয়ালদহ এবং হাওড়া-সহ সমস্ত বড় স্টেশনগুলিতেই। তুলনায় ছোট স্টেশনগুলি একটু ফাঁকাই ছিল। তবে জমায়েত যাতে না হয়, তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে আরপিএফ, জিআরপি এবং রেলকর্মীরা।

যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন
যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন। মুখে মাস্ক ব্যবহার করলেও, কোনও কোনও সময় তা যথাস্থানে দেখা যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্টেশগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছিল আরপিএফ এবং জিআরপিকে। সঙ্গে যেসব স্টেশনে একাধিক ঢোকা ও বেরনোর পথ রয়েছে, সেগুলিকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।

আরও বেশি ট্রেনের দাবি
পূর্ব রেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এদিন থেকে হাওড়া শাখায় ৩১১ টি এবং শিয়ালদহ শাখায় ৪১৩ টি ট্রেন চালানো হচ্ছে। তবে এদিন যাত্রীরা বলছেন, এই সংখ্যাটা যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গেলে, অফিস টাইমে আরও বেশি সংখ্যায় ট্রেন চালাতে হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে যাত্রীদের এই দাবির পাশে দাঁড়িয়েছেন।

সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় একাধিক ব্যবস্থা
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বড় স্টেশনগুলিতে থাকছে থার্মাল স্ক্যানার। কোনও যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে তাঁকে ফাঁকা জায়গায় বসানো হবে। এছাড়াও অ্যাম্বুলেন্সও রাখা হয়েছে।

ধাপে ধাপে রেডি হয়েছেন রেলকর্মীরা
গত সাতমাস ধরে রেলের তরফে বিভিন্ন শাখায় রেলকর্মীদের জন্য চালানো হয়েছিল স্পেশাল ট্রেন। এবার সেখান থেকে অনেক বেশি সংখ্যায় ট্রেন চলা শুরু হল এদিন থেকে। যা নিয়ে অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিয়েছেন রেলকর্মী থেকে আধিকারিক সকলেই। ধাপে ধাপে কাজ করা হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনকে স্যানিটাইজ করা হয়েছে।

উদ্যোগ ছিল নবান্নের
লোকাল ট্রেন চালু করার ব্যাপারে বেশিরভাগ চিকিৎসক বিরুদ্ধ মত পোষণ করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি থেকে বাম কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই লোকাল ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে এসেছে। সর্বশেষে নবান্নের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একদিকে যেমন রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠ,কে ট্রেনের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে, অন্যদিকে ভিড় এড়াতে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এই ট্রেন চলাচল শুরু হলে, সাধারণ মানুষের যে সুবিধা হবে, তা নিয়ে টুইট করেছিলেন রেলমন্ত্রী।

কালী পুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোয় কি অন্য ব্যবস্থা
কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোয় যাতে লোকাল ট্রেনে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের। মামলাকারী অজয় দে তাঁর আবেদনে বলেছেন, শহরতলীর যেসব জায়গা কালীপুজো কিংবা জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিখ্যাত তার আগে পরে ১০ কিমির মধ্যে যেন ট্রেন দাঁড় করানো না হয়।

মোদীর সভাপতিত্বে আসিয়ান সম্মেলন, চিনা আগ্রাসন নিয়ে হতে পারে আলোচনা