এবার কেরালায় গলা কাটা দেহ বাঙালির, আতঙ্কিতদের বাংলায় ফেরার আহ্বান মমতার
কেরালায় বাঙালি যুবকের গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই রাজ্যে ফের আতঙ্ক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়ার সভা থেকে ফের সরব হয়েছেন এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে।
রাজস্থানের পর কেরালা। ফের বাঙালি যুবক নৃশংস খুন হল ভিনরাজ্যে। নিহত যুবকের নাম হেমন্ত রায়। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ার ইন্দাসের রোল গ্রামে। কেরালায় তাঁর গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই রাজ্যে ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়ার সভা থেকে এদিন ফের সরব হয়েছেন ভিনরাজ্যে রাজ্যের যুবক হত্যার ঘটনায়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ভিনরাজ্যে কাজের সন্ধানে যাওয়া আতঙ্কিত যুবকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, 'আতঙ্কিতরা বাংলার ফিরে আসুন, রাজ্যে আপনাদের জন্য অনেক কাজ রয়েছে।' সেইসঙ্গে এই হামলার ঘটনায় ঘোর নিন্দা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'পরিকল্পিতভাবে বাঙালিদের বেছে বেছে এই হামলা চালানো হচ্ছে। এই প্রবণতা দেশের পক্ষে খুব মারত্মক।'
মাস তিনেক আগে বাঁকুড়ার এই যুবক মোটর মেকানিকের কাজে কেরালায় যান। কেরালরার পানাভল্লিতে তিনি কাজ করতেন। রবিবার সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজ পান হেমন্তের নলিকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। তারপরই তাঁর পরিবারের সদস্যরা কেরালার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। হেমন্তের দেহ বাঁকুড়ায় ফিরিয়ে আনার জন্য রাজ্যের তরফ থেকেও সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মৃতের বাবা জানান, দুপুরেই ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তারপর সন্ধ্যায় খবর আসে ছেলের খুন হওয়ার। তিন বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁর এক নাবালক সন্তান রয়েছেন। এরই মধ্যে হেমন্তের হত্যাকাণ্ডের খবর আসায়, তাঁর পরিবার শোকস্তব্ধ, তাঁরা কিং কর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়েছেন।
এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর তরফে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বার্তা দেওয়া হয়েছে ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়া যুবকদেরও। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ফিরে আসার বার্তা নিয়ে বিরোধীরা সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তীব্রভাবে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যে ফিরে আসতে বলছেন বাংলায়, তারা বাংলায় এসে করবে কী। তারা ফিরে এসে কি তোলাবাজি করবে?'
সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'যে সরকার ডিনামাইট ফাটিয়ে কারখানা গুঁড়িয়ে দেয়, তাদের ভরসায় কী করে ফিরবেন ভিনরাজ্যে কর্মরত যুবক-যুবতীরা! তারা তো রাজ্যের হাল হকিকৎ দেখেই ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছে। এমনি এমনি তো তারা বাড়ি ছেড়ে যায়নি ভিনরাজ্যে।'