নারদকাণ্ডে এফআইআর-এর পরই কেডি-র বিরুদ্ধে পর পর অভিযোগ আমানতকারীদের
নারদকাণ্ডে সিবিআই ১২ জন শাসকদলের নেতা-নেত্রীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করার পরই তৃণমূল সাংসদ তথা অ্যালকেমিস্ট কর্ণধার কে ডি সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের হিড়িক পড়ে গেল।
কলকাতা, ১৮ এপ্রিল : নারদকাণ্ডে সিবিআই ১২ জন শাসকদলের নেতা-নেত্রীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করার পরই তৃণমূল সাংসদ তথা অ্যালকেমিস্ট কর্ণধার কে ডি সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের হিড়িক পড়ে গেল। একদিনেই তিনটি পৃথক এফআইআর হল কলকাতায়।
আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হল কে ডি সিংয়ের বিরুদ্ধে। কালীঘাট থানাতেই তিনটি পৃথক অভিযোগ হয় তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে।
নারদা স্টিং অপারেশন হয়েছিল কে ডি সিংয়ের নির্দেশে। নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলস সিবিআইয়ের কাছে এই দাবি করেছিলেন কয়েকদিন আগেই। তারপরই কে ডি সিংয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। দলের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো নয় কেডি-র। তারপর ম্যাথুর ওই দাবি প্রকাশ্যে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং তাঁর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক যেদিন নারদ মামলায় সিবিআই তৃণমূলের অভিযুক্ত নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল, সেদিনই তৃণমূল সাংসদ কেডি-র বিরুদ্ধে এফআইআরও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আমানতকারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে কে ডি সিংয়ের বিরুদ্ধে।
তিন অভিযোগকারীর মধ্যে দু'জনই আবার হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দা। তাঁরা অভিযোগ, কেডি-সহ ২৭ জন ডিরেক্টরের নাম উল্লেখ করেছেন। তিনজনেই অ্যালকেমিস্ট টাউনশিপ সংস্থায় টাকা রেখে প্রচারিত হল বলে অভিযোগ।
অভিযোগকারী শুভাশিস চৌধুরী ২০১৩ সালে ১ লক্ষ ৮০ টাকা রেখে প্রতারিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আর এক অভিযোগকারী অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ২০১৪ সালে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা রেখে প্রতারিত হন তিনি। দীপা চৌধুরীর অভিযোগ তিনি এক লক্ষ টাকা রেখে প্রতারিত হয়েছেন।