নন্দীগ্রামের ভোট মিটতেই ফোকাসে মমতার গড় ভবানীপুর, 'অ্যাডভান্টেজ' এর প্রশ্নে তৃণমূলের প্রার্থীর বড় বার্তা
অধিকারীগড়ে নন্দীগ্রামের ভোটপর্ব সবেমাত্র শেষ হয়েছে। আর ঠিক তারপর দিন থেকেই এবার ফোকাসে ভবানীপুর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাস তালুকই শুধু নয়, প্রার্থী হিসাবে তাঁর পুরনো বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর। নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে ভোট পর্ব পর্যন্ত মমতার একটা অংশের লড়াই শেষ হতেই এবার ফোকাসে ভবানীপুর। সেখানে তৃণমূলের গেমপ্ল্যান থেকে প্রার্থীর বার্তা একনজরে দেখা যাক।
ভবানীপুরে 'অ্যাডভান্টেজ' এর প্রশ্নে শোভনদেব
প্রসঙ্গত, ভবানীপুরকে এককালে ঘাসফুলের খাসতালুক হিসাবে চিনত কলকাতা। তবে ২০১৯ লোকসভা থেকে এই আসনের রাজনৈতিক অঙ্কে কিছুটা পালাবদল দেখা যায়। দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার যে বুথে ভোট দেন, সেই মিত্র ইনস্টিটিউশনের বুথ থেকেই ২০১৯ লোকসভা ভোটে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল। তবে ২০২১ ভোটে বেশ আত্মবিশ্বাসী এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মতে 'মুখ্যমন্ত্রীর ছেড়ে যাওয়া আসন বলেই' এই কেন্দ্রে তিনি অ্যাডভান্টেজে।
ভবানীপুর নিয়ে তিনি কেন আশাবাদী?
ভবানীপুর আসন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে একটি বড় দিক। তিনি প্রচারে বেরিয়ে বলছেন, এই এলাকার সঙ্গে তাঁর পরিচিতি বহুদিনের। এলাকার বহু কাজে যেমন তিনি ছিলেন, তেমনই বহু আড্ডাতেও তিনি ছিলেন। আর সেই সূত্রে যে তাঁকে এলাকার মানুষ চেনেন, তা বলতে ভোলেননি শোভনদেব।
২০১৯ এর ভুল শুধরে তৃণমূল কীভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভবানীপুরে?
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ভবানীপুরের যে ৬ টি ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল ,সেই ওয়ার্ডগুলিতে দল বাড়তি ফোকাস দিয়েছে। এই ওয়ার্জগুলি মূলত অবাঙালি প্রধান ওয়ার্ড। ৬৩,৭০, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি লিড পায় লোকসভা ভোটে। এই সমস্ত ওয়ার্ড থেকে কীভাবে বুথ ভিত্তিক জয় আসবে তার ছক গোপন বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন।
বুথ ধরে রাখতে কোন অঙ্ক?
জানা গিয়েছে ভবানীপুর নিয়ে যে বৈঠক ফিরহাদ করেছেন, তাতে লোকসভা ভোটে যে সমস্ত বুথে তৃণমূল-বিজেপি ফলাফলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল তাকে মার্কিং করে দিয়েছেন ফিরহাদ। ভবানীপুরের ২৬৯ বুথের মধ্যে যে বুথে ফলাফল ৫০-৫০ হয়েছে , সেখানে ১০০ শতাংশ তৃণমূলের পক্ষেই যেন যায় তারলক্ষ্য স্থির করে দেন ফিরহাদ।
তুরুপের তাস শোভনদেব!
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী রুদ্রনীলকে 'বহিরাগত' হিসাবে জোরদারভাবে তুলে ধরতে শোভনদেবই তৃণমূলের তুরুপের তাস। এখানের ৭১,৭৩ নম্বর ওয়ার্ড হাতের তালুর মতো চেনা শোভনদেব এলাকার বাসিন্দা। আর সেই জায়গা থেকে অ্যাডভান্টেজ সঙ্গে রাখততে চাইছে তৃণমূল। এদিকে, শোভনদেব নিজেও কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বসে বহু স্ট্র্যাটেজি ঠিক করছেন বলে খবর। সব মিলিয়ে নন্দীগ্রাম পর্ব শেষ হতেই এবার প্রেস্টিজ ফাইটে ভবানীপুর ফোকাসে।