২০২১-এর লক্ষে অমিত শাহ, তৃণমূলকে ধাক্কা দিতে পুরভোটের পরের পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা
শুধু পুরনির্বাচনেই নয়, ২০২১-এর লক্ষে কৌশল স্থির করছে বিজেপি নেতৃত্ব। বলা ভাল অমিত শাহের নেতৃত্বে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
শুধু পুরনির্বাচনেই নয়, ২০২১-এর লক্ষে কৌশল স্থির করছে বিজেপি নেতৃত্ব। বলা ভাল অমিত শাহের নেতৃত্বে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পুরভোটে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টার পাশাপাশি পুরভোটের পরে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পরের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
পুরভোটে বিজেপি টার্গেট
পুরভোটে আর কোনও দল নয়, তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি লড়াই চায় বিজেপি। দলের নেতারা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন নির্বাচন সঠিকভাবে হলে তারা অনেকগুলি পুরসভাতেই ক্ষমতা দখল করবেন। এব্যাপারে সংখ্যাটা ৫০-এর আশপাশে বলেই জানা গিয়েছে। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হওয়ার নয়, সেই আশঙ্কাও করে রেখেছেন তারা।
প্রার্থী বাছাইয়ে নজর
বিজেপি নেতৃত্বের তরফে পুরনির্বাটনে প্রার্থী বাছাইয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী এব্যাপারে একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সমীক্ষা করার জন্য। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রার্থী করার ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
পুরভোটের পরেই ভাঙন ধরতে পারে তৃণমূলে
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূলের আসন যাই হোক না কেন, ২০২১-এর লক্ষে পুরভোটের পরেই ঘাসফুল শিবিরে বড় ভাঙন ধরানো হতে পারে। এব্যাপারে অনেক তৃণমূল নেতার সঙ্গেই কথা পাকা হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। যার ফলে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ধারাবাহিকভাবে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে।
সাহ্যয্যে তৃণমূলের একাংশ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূলের একটা বড় অংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ভীষণ ক্ষিপ্ত। তাই তাঁরাই বিজেপিকে সুযোগ করে দিতে পারেন। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে মোদী অমিত শাহদের ছবি টানানো এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন অনেকে।